বৃহস্পতিবার (৪ অক্টোবর) বিকেলে কুষ্টিয়া নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ আদালতের বিচারক মুন্সি মো. মশিউর রহমান এ রায় দেন।
যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- কুমারখালী উপজেলার সাওতা উত্তরপাড় এলাকার সাহেব আলী শিহাব, জমির শেখ, মসলেম শেখ, আরিফ শেখ, মুক্তার শেখ ওরফে মোকাদ্দেস, ময়েন উদ্দিন, মিন্টু শেখ।
২০১১ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর বিকেলে প্রেমের সূত্রে কুষ্টিয়া মহিলা কলেজের ওই ছাত্রীকে ডেকে নিয়ে যান কুমারখালী উপজেলার কেসবাপুর গ্রামের নাজির উদ্দিন শেখের ছেলে আরিফ শেখ। আরিফ ওই ছাত্রীকে তার বন্ধু উপজেলার মোবারক শেখের ছেলে মিন্টু শেখের বাড়িতে তোলেন। একপর্যায়ে রাত ১০টার দিকে আসামিরা যোগসাজশে মিন্টুর বাড়ি থেকে ওই ছাত্রীকে অপরহণ করে পার্শ্ববর্তী কলাবাগানে নিয়ে গিয়ে চালায় গণধর্ষণ। পরে মুমূর্ষু অবস্থায় তাকে সেখানে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়।
পরদিন গুরুতর আহত ওই ছাত্রী হাসপাতালে ভর্তি হন। সেদিনই নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে কুমারখালী থানায় ভুক্তভোগী ওই ছাত্রীর এক আত্মীয় বাদী হয়ে নয়জনকে আসামি করে মামলা করেন।
কুষ্টিয়া নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ আদালতের সরকারী কৌশুলী আকরাম হোসেন দুলাল বাংলানিউজকে জানান, ওই ছাত্রীকে গণধর্ষণ মামলার তদন্ত শেষে চার্জশিট (অভিযোগপত্র) দাখিল করেন কুমারখালী থানার তদন্তকারী কর্মকর্তা। আদালত দীর্ঘ সাক্ষ্য শুনানির পর বৃহস্পতিবার আসামিদের উপস্থিতিতে এ রায় দেন। এছাড়া এজাহারভুক্ত অপর আসামি একই এলাকার শামসুল শেখের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়।
বাংলাদেশ সময়: ২০০৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৪, ২০১৮
এসআরএস/এইচএ