আইন মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত একটি চিঠি বৃহস্পতিবার (২৫ অক্টোবর) সাতক্ষীরা জজ কোর্টে পৌঁছার পর তাকে অপসারণের আদেশ দেওয়া হয়। একই আদেশে তার স্থলে পিপির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে অতিরিক্ত পিপি অ্যাডভোকেট তপন কুমার দাসকে।
আইন মন্ত্রণালয়ের সহকারী সচিব (পিপি/জিপি) আবদুস সালাম মণ্ডল স্বাক্ষরিত ওই চিঠিতে বলা হয়েছে, অ্যাডভোকেট ওসমান গণির নিয়োগ প্রশাসনিক কারণে বাতিল করা হয়েছে।
জানা গেছে, অ্যাডভোকেট ওসমান গণি ২০১৪ সালের ২৫ আগস্ট সাতক্ষীরা জেলা ও দায়রা জজ কোর্টের পিপি হিসেবে যোগদান করেন। এর পর থেকে তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময়ে আইনের যথাযথ ব্যাখ্যা দানে অজ্ঞতার অভিযোগ ওঠে। ফলে সরকার পক্ষ বেশিরভাগ মামলায় হেরে যেতে থাকে। তার বিরুদ্ধে ২৯টি বিভিন্ন ধরনের মামলার নম্বর দিয়ে তার রায় তদন্তের দাবি করে মন্ত্রণালয়ে অভিযোগ জমা দেন সাতক্ষীরা জেলা আইনজীবী সমিতির একজন সদস্য। এর মধ্যে সাতক্ষীরার জামায়াত দলীয় সাবেক সংসদ সদস্য ও মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় কারাবন্দি অধ্যক্ষ আবদুল খালেক মণ্ডল, কলেজছাত্র গৌতম হত্যা এবং আওয়ামী লীগ নেতা ও দৈনিক পত্রদূত সম্পাদক স ম আলাউদ্দিন হত্যা মামলাও ছিল। এসব মামলায় তিনি বিবাদি পক্ষকে বিভিন্নভাবে সহায়তা করেন বলে অভিযোগ ওঠে। তার বিরুদ্ধে আর্থিক দুর্নীতি ও জ্ঞাত আয় বহির্ভূত উপার্জনের অভিযোগ ওঠে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে তাকে দায়িত্ব থেকে অপসারণ করা হলো।
এ বিষয়ে জানতে অ্যাডভোকেট ওসমান গণিকে ফোন করা হলে তিনি বাংলানিউজকে বলেন, চিঠি এসেছে বলে শুনেছি। তবে যেসব অভিযোগ করা হচ্ছে তা সত্য নয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৫, ২০১৮
এসআই