সেই সঙ্গে যাবজ্জীবনপ্রাপ্ত আসামিদের ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরো এক বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
সোমবার (৫ নভেম্বর) দুপুরে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. শওকত আলী এ রায় দেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামির নাম নিরঞ্জন উরাও। তিনি গোমস্তাপুর উপজেলার কাশরইল এলাকার সমর উরাওয়ের ছেলে।
যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্তরা হলেন- একই এলাকার সমর উরাওয়ের ছেলে গনেশ উরাও ও দশরথ উরাও, রুবিয়া উরাওয়ের ছেলে সাবানু উরাও, মৃত বিশ্বনাথ উরাওয়ের ছেলে বধুয়া উরাও এবং রাইয়া উরাওয়ের ছেলে সমরা উরাও। তাদের মধ্যে বধুয়া এবং সমরা পলাতক।
রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন আইনজীবী আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট আঞ্জুমান আরা। তিনি জানান, ২০১০ সালে রফিকুল ইসলাম জমি দেখভাল ও কাপড়ের ব্যবসার সুবাদে গোমস্তাপুর উপজেলার কাশরইল গ্রামে যাতায়াত করতেন। তার সঙ্গে আসামিদের বিরোধ ছিল। ওই বছরের ২৩ নভেম্বর সন্ধ্যায় ওই এলাকার একটি চায়ের দোকানে আড্ডা দিচ্ছিলেন রফিক। এসময় পূর্ব শত্রুতার জের ধরে ওই ছয়জন ধারালো অস্ত্র দিয়ে রফিককে গলা কেটে হত্যা করেন। এ ঘটনায় নিহত রফিকের ভাই আব্দুল জাব্বার বাদী হয়ে গোমস্তাপুর থানায় ওই রাতেই একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরে ২০১১ সালের ১২ সেপ্টেম্বর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা গোমস্তাপুর থানার সেই সময়ের উপপরিদর্শক (এসআই) বনী ঈসরাইল আদালতে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। পরে শুনানি ও তথ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে সোমবার দুপুরে এ রায় দেন আদালত।
আসামিপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন ছিলেন অ্যাডভোকেট আব্দুর রাজ্জাক খান ও এম এ ওদুদ।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৫, ২০১৮
এসআই