মঙ্গলবার (৬ নভেম্বর) জননিরাপত্তা বিঘ্নকারী অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মহসিনুল হক এ রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ডিত নবকুমার সাহা খুলনা আইচগাতি গ্রামের সাহাপাড়ার বাসিন্দা চিত্ত সাহার ছেলে ও উজিরপুর জামবাড়ি গ্রামের বাসিন্দা।
আদালত সূত্র জানায়, দণ্ডিত নবকুমারের শ্যালক মিলন মল্লিকের সঙ্গে উজিরপুর কাউয়ারেখা গ্রামের সুভাষ হালদারের মেয়ে কল্পনা রানির ২০১০ সালে বিয়ে হয়। মিলন দিনমজুরের কাজ করায় এবং আর্থিক অবস্থা খারাপ হওয়ায় নবকুমারের বাসায় থাকতেন। ওই সালের ৬ জুন কল্পনা তার বাবার বাড়ি এক অনুষ্ঠানে যান। ওইদিন রাতে নবকুমার তাকে আনতে গেলে কল্পনা সাতমাসের অন্তঃস্বত্তা থাকায় তার পরিবার দিতে অস্বীকৃতি জানায়।
এরপরও নবকুমার তাকে জোরপূর্বক নিয়ে আসেন এবং ৮ জুন কল্পনা বিষপানে আত্মহত্যা করেছেন বলে জানায়। এ ঘটনায় পরেদিন কল্পনার বাবা বাদী হয়ে নবকুমারসহ অজ্ঞাতপরিচয় তিনজনকে অভিযুক্ত করে মামলা দায়ের করেন। ২০১৩ সালের ৩১ ডিসেম্বর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উজিরপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) শামীম শেখ আদালতে চার্জশিট জমা দেন।
এতে উল্লেখ করা হয়, নবকুমারের স্ত্রী খুলনায় থাকেন। মিলন দিনমজুরের কাজ করায় এবং বাসায় না থাকায় কল্পনা রানির সঙ্গে নবকুমারের অনৈতিক সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ২০১০ সালের ৭ জুন মিলন ও কল্পনার সঙ্গে নবকুমারের পারিবারিক বিষয় নিয়ে বিরোধ হয়। ওইদিন রাতে মিলন ঘুমিয়ে পড়লে কল্পনাকে ডেকে নেয় নবকুমার। এ সময় শারীরিক সম্পর্ক করতে চাইলে অস্বীকার করায় তাকে মারধর করেন। এতে অজ্ঞান হয়ে পড়লে জানাজানির ভয়ে কল্পনাকে হত্যা করে আত্মহত্যা বলে প্রচার চালায়।
মামলায় ২০ জনের মধ্যে ১৯ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে বিচারক ওই রায় দেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩১ ঘণ্টা, নভেম্বর ৬, ২০১৮
এমএস/এএটি