এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে সোমবার (১২ নভেম্বর) বিচারপতি জেবিএম হাসান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন।
সাতক্ষীরার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের প্রতি এ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোতাহার হোসেন সাজু।
রুলে হাইকোর্ট আইন ও বিধি অনুযায়ী সুন্দরবন সংরক্ষণের নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়েছেন।
চার সপ্তাহের মধ্যে পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক, কোস্টগার্ডের মহাপরিচালক, প্রধান বন সংরক্ষক, সাতক্ষীরার জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, শ্যামনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট ১৬ বিবাদীকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী শামসুল হক। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোতাহার হোসেন সাজু।
সুন্দরবন থেকে ২২টি হরিণ শিকারের খবর গত ৯ ও ১০ জুলাই বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়।
পরে গত ২৫ জুলাই শ্যামনগরের বাসিন্দা ও সাপ্তাহিক নয়া বার্তার সম্পাদক আবু বকর জনস্বার্থে এ রিট দায়ের করেন।
মোতাহার হোসেন সাজু বলেন, সাতক্ষীরার শ্যামনগরের ২২ হরিণ শিকারের ঘটনা অনুসন্ধান করে সাতক্ষীরার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটকে তিন মাসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। এছাড়া হরিণ শিকারের ঘটনা কেন্দ্র করে ঘটনার আগে ও পরে কোস্টগার্ড, বন বিভাগ, প্রশাসনের মধ্যে ও সাংবাদিকদের সঙ্গে যে কথোপকথন হয়েছে তা সংরক্ষণ করতে বিটিআরসিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
রিট আবেদনটি আগামী বছরের ২৭ ফেব্রুয়ারি পরবর্তী শুনানির জন্য কার্যতালিকায় আসবে।
আইনজীবী শামসুল হকও আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তার মতে, হরিণ শিকার হয়েছে ২২টি, মামলায় দেখানো হয়েছে তিনটি।
বাংলাদেশ সময়: ১৯০০ ঘণ্টা, নভেম্বর ১২, ২০১৮
ইএস/এএ