মঙ্গলবার (১৩ নভেম্বর) বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কে এম হাফিজুল আলমের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে দুদকের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান ও এম এ আজিজ খান।
পরে এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক বলেন, খারিজাদেশের ফলে মামলাটি এখন বিচারিক আদালতে চলতে আর কোনো বাধা নেই।
তিনি আরও জানান, ডা. আফজাল হোসেনের বাবা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা থাকার সুবাদে ক্ষমতার অপব্যবহার করে বদলি বাণিজ্যের মাধ্যমে ১০ কোটি ৬১ লাখ ১শ’ ৩১ টাকা অবৈধভাবে অর্জন করেন। টাকাগুলো স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক ধানমন্ডি শাখা, সিলন ব্যাংক, ধানমন্ডি শাখা, এবি ব্যাংক ও ইস্টার্ন ব্যাংকের শাখায় জমা রাখেন। পরে নয় কোটি ৬১ লাখ ১শ’ ৩১ টাকা উত্তোলন করে উৎস গোপন বা আড়ালের উদ্দেশ্যে হস্তান্তর ও রূপান্তরের মাধ্যমে মানিলন্ডারিং করার অভিযোগে দুদকের সহ-পরিচালক মো. ইব্রাহিম অনুসন্ধান করে সত্যতা পাওয়ায় ২০০৮ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর ধানমন্ডি থানায় মামলা করেন। পরে ইব্রাহিম তদন্ত করে ২০০৯ সালের ২৫ জুন আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।
মামলাটি বিভাগীয় স্পেশাল জজ, ঢাকায় বিচারাধীন আছে। ২০১৭ সালের ২২ অক্টোবর আসামির বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করা হয়। চার্জ গঠনের পর আসামিপক্ষে একই বছরের ২৬ নভেম্বর মামলা বাতিলের জন্য ফৌজদারি বিবিধ মামলাটি দায়ের করেন বলে জানান এ কে এম আমিন উদ্দিন।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৩, ২০১৮
ইএস/আরআর