বৃহস্পতিবার (১৫ নভেম্বর) বিচারপতি শেখ আবদুল আউয়াল ও বিচারপতি ভীষ্মদেব চক্রবর্তীর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।
আদালতে জামিন আবেদনের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার সারা হোসেন ও জ্যোতির্ময় বড়ুয়া।
জামিনের বিষয়টি নিশ্চিত করে ব্যারিস্টার জ্যোর্তিময় বড়ুয়া বলেন, রুল মঞ্জুর করে তাকে স্থায়ী জামিন দিয়েছেন আদালত। এখন তার মুক্তিতে আর কোনো বাধা নেই।
গত ২৯ অক্টোবর বিদেশি টিভি চ্যানেল আল জাজিরায় প্রচারিত আলোকচিত্রী শহিদুল আলমের বক্তব্য এবং ফেসবুক লাইভে প্রচারিত তথ্য-উপাত্ত চেয়েছিলেন হাইকোর্ট। সে অনুসারে আজ ভিডিও আদালতে প্রজেক্টরের মাধ্যমে দেখানো হয়।
এর আগে ৭ অক্টোবর আলোকচিত্রী শহিদুল আলমকে কেন জামিন দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছিলেন হাইকোর্ট। ১ নভেম্বর হাইকোর্টের অপর একটি বেঞ্চ জামিনের আবেদনটি কার্যতালিকা থেকে বাদ দিয়েছিলেন। এরপর উক্ত বেঞ্চে আবেদনটি শুনানির জন্য উপস্থাপন করা হয়।
গত ১১ সেপ্টেম্বর ঢাকা মহানগর দায়রা জজ ইমরুল কায়েস শহিদুল আলমের জামিন আবেদন নাকচ করেছিলেন।
এরপর ১৬ সেপ্টেম্বর হাইকোর্টে জামিন আবেদন করেন তিনি। ৩ অক্টোবর এ জামিন আবেদনের ওপর শুনানি শুরু হয় এবং ৭ অক্টোবর রুল জারি করেন হাইকোর্ট।
নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলনের সময় ৫ আগস্ট আলোকচিত্রী ড. শহিদুল আলমকে বাসা থেকে নেওয়ার পর ‘উসকানিমূলক মিথ্যা’ প্রচারের অভিযোগে তথ্য-প্রযুক্তি আইনের মামলায় ৬ আগস্ট রিমান্ডে নেয় পুলিশ। এ মামলায় ৬ আগস্ট সিএমএম আদালতে তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫০ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৫, ২০১৮
ইএস/এমজেএফ