গ্রেফতার হওয়ার পর থেকে পর্যায়ক্রমে তার বিরুদ্ধে ১৭টি মামলার শুনানি হয়। কিন্তু সবগুলো মামলার শুনানির পর জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন বিচারকগণ।
মিলনের বিরুদ্ধে ভ্যানিটি ব্যাগ, জুতা ও ঘড়ি চুরি এবং ছিনতাইসহ চাঁদপুরের আদালতে মোট ২৬টি মামলা চলমান।
সর্বশেষ ২০০৯ সালের নির্বাচনী ব্যয়ের রিটার্ন নির্দিষ্ট সময়ে দাখিল না করা সংক্রান্ত মামলায়ও জামিন নামঞ্জুর করেছেন আদালত।
মঙ্গলবার (২৭ নভেম্বর) দুপুরে চাঁদপুরের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. শফিউল আজমের আদালতে আ ন ম এহছানুল হক মিলনের উপস্থিতিতে এ মামলার শুনানি হয়। এর আগে সকাল ১১টায় চাঁদপুর জেলা কারাগার থেকে মিলনকে আদালতে হাজির করা হয়।
মিলনের আইনজীবী কামরুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, নির্বাচনী ব্যয়ের রিটার্ন নির্দিষ্ট সময়ে দাখিল না করায় ২০০৯ সালে সাবেক জেলা নির্বাচন অফিসার মেজবা উদ্দিন বাদী হয়ে জনপ্রতিনিধি অধ্যাদেশ ধারায় চাঁদপুর সদর মডেল থানায় এহছানুল হক মিলনের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন। সে মামলায় জামিন নামঞ্জুর করায় মিলনকে জেলহাজতে যেতে হয়েছে।
এর আগে সোমবার (২৬ নভেম্বর) অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. সরওয়ার আলম এর আদালতে ১৪টি মামলায় জামিনের আবেদন করে শুনানি হয়। শুনানি শেষে আদালত সবগুলো মামলায় তার জামিন নামঞ্জুর করেন।
এছাড়াও একই দিনে আরো ২টি মামলায় অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সৈয়দ কায়সার মোশারফ ইউসুফ এর আদালতে শুনানি হয়। শুনানি শেষে এ দু’টি মামলায়ও বিচারক জামিন নামঞ্জুর করেন।
বিএনপির এ নেতা উচ্চ শিক্ষার জন্য দীর্ঘদিন দেশের বাইরে থাকায় আদালতে হাজিরা দিতে পারেননি। এ কারণে সবগুলো মামলাতে আদালত তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।
শুক্রবার (২৩ নভেম্বর) ভোরে চট্টগ্রামের চকবাজারের চট্টেশ্বরী এলাকার এক আত্মীয়ের বাসায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করে চাঁদপুর জেলা গোয়েন্দা পুলিশ।
বাংলাদেশ সময়: ২০২৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৭, ২০১৮
আরএ