বুধবার (২৮ নভেম্বর) দুপুরে এ রায় ঘোষণা করেন বরগুনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. হাফিজুর রহমান।
দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন-আবদুস সালাম, আবদুর রহমান, আবুল কালাম ও পরিভানুর স্বামী ইব্রাহীম তালুকদার।
মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, ২০১২ সালের ২৯ নভেম্বর গভীর রাতে পানের বরজে বেশি টাকায় কাজ দেওয়ার কথা বলে পরিভানুকে ঘর থেকে ডেকে নিয়ে যান প্রতিবেশী আবদুস সালাম। পরে ওই রাতে পরিভানুর স্বামী ইব্রাহীম তালুকদার, আবদুস সালাম, আবদুর রহমান ও আবুল কালাম তাকে আফাজ প্রফেসরের ধান ক্ষেতে নিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণ করার পর গলা টিপে হত্যা করেন। এ ঘটনায় ২০১২ সালের ৪ ডিসেম্বর পরিভানুর মোসলেম আলী বাদী হয়ে তালতলী থানায় মামলা করেন। ঘটনার সাতদিন পর পুলিশ আবদুস সালামকে গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি দোষ স্বীকার করে আমতলী ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে জবানবন্দি দেন। তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী পরে ইব্রাহীমসহ আরো চার আসামিকে গ্রেফতার করা হয়। তারাও আদালতে দোষ স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। জবানবন্দিতে পরিভানুর স্বামী ইব্রাহীম বলেন, তিনি দ্বিতীয় বিবাহ করায় পরিভানু তার বিরুদ্ধে তিনটি মিথ্যা মামলা করেছিলেন। আদালতে হাজিরা দিতে দিতে তিনি হাফিয়ে ওঠায় তাকে দুনিয়া থেকে সরিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করেন। পরিকল্পনা অনুযায়ী পরে তিন প্রতিবেশীকে সঙ্গে নিয়ে পরিভানুকে ধর্ষণের পর হত্যা করেন। মামলায় মোট ১১ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ, জবানবন্দি ও নথিপত্র পর্যালোচনা করে পাঁচ আসামির মধ্যে চারজনের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও হত্যার প্রমাণ পাওয়ায় বুধবার এ রায় দেন আদালত।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪১ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৮, ২০১৮
এসআই