ঢাকা, রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

আইন ও আদালত

হত্যা মামলায় মা, ছেলে ও পুত্রবধূর যাবজ্জীবন

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৪১ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৯, ২০১৮
হত্যা মামলায় মা, ছেলে ও পুত্রবধূর যাবজ্জীবন রায়ের পর দণ্ডপ্রাপ্ত মা, ছেলে ও পুত্রবধূকে আদালত থেকে কারাগারে নেওয়া হচ্ছে। ছবি-বাংলানিউজ

কুষ্টিয়া: কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় খায়রুল নামে এক যুবককে হত্যার দায়ে মা, ছেলে ও পুত্রবধূকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। 

বৃহস্পতিবার (২৯ নভেম্বর) দুপুর দেড়টার দিকে কুষ্টিয়া জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক অরূপ কুমার গোস্বামী আসামিদের উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন।

দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- ভেড়ামারা উপজেলার সাতবাড়িয়া হিসনাপাড়ার মৃত নাগর মিস্ত্রীর স্ত্রী মর্জিনা খাতুন (৭০), তাদের ছেলে আব্দুল মান্নান (৫২) ও আব্দুল মান্নানের স্ত্রী মেরিনা খাতুন (৪০)।

 

মামলার অপর আসামি হজরত আলীকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন আদালত।  

আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১৩ সালের ২৪ আগস্ট দুপুরে ভেড়ামারা উপজেলার সাতবাড়িয়া হিসনাপাড়া গ্রামের রাস্তা দিয়ে খায়রুল নামে এক যুবকের ভাই শাহিন কাঁচা পাট বোঝাই ট্রলি চালিয়ে যাওয়ার সময় পেছনে ছোট ছোট কয়েকটি শিশু ঝুলছিল। শাহিন ট্রলি দাঁড় করিয়ে ওই বাচ্চাদের বকা দিলে মর্জিনা, আব্দুল মান্নান ও তার স্ত্রী মেরিনা শাহিনকে ঘরে আটকে রেখে মারধর করেন। খবর পেয়ে শাহিনের ভাই খায়রুলসহ পারিবারে সদস্যরা তাকে ছাড়িয়ে নিতে এলে তাদেরও লাঠি দিয়ে মারধর করেন তারা। এসময় লাঠির আঘাতে খায়রুল গুরুতর আহত হন। এ অবস্থায় খায়রুলকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।  

এ ঘটনায় নিহতের বড় ভাই উপজেলার দক্ষিণ ভবানীপুর গ্রামের মৃত. তালিম উদ্দিন মণ্ডলের ছেলে আমিরুল ইসলাম বাদী হয়ে চারজনকে আসামি করে ভেড়ামারা থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলাটি তদন্ত শেষে ২০১৫ সালে ১৭ জানুয়ারি আদালতে চার্জশিট দাখিল করে পুলিশ। আদালত ২০১৫ সালের ৬ মে আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে সাক্ষ্য শুনানি শুরু করেন। এরপর শুনানি ও নথিপত্র পর্যালোচনা করে এ হত্যাকাণ্ডে ওই তিনজনের জড়িত থাকার বিষয়টি প্রমাণ হওয়ায় এ রায় দেন আদালত।  

বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৯, ২০১৮
এসআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।