প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে রোববার (০২ ডিসেম্বর) আপিল বিভাগের সাত বিচারপতির বেঞ্চ স্থগিতাদেশ চলমান রেখে এ আদেশ দেন।
এর আগে হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষ ও দুদকের আবেদনের প্রেক্ষিতে শনিবার (০১ ডিসেম্বর) আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর আদালত স্থগিতাদেশ দিয়ে শুনানির জন্য রোববার পূণাঙ্গ বেঞ্চে পাঠান।
আদালতে সাবিরা সুলতানার পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী। সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী আমিনুল ইসলাম ও এস কে গোলাম রসুল। দুর্নীতি দমন কমিশিনের (দুদক) পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।
পরে খুরশীদ আলম খান বলেন, এখন তো আর দণ্ডিতদের মনোনয়নপত্র গ্রহণ হবে না।
আর ‘সিদ্ধান্ত এখন নির্বাচন কমিশনের,’ বলে জানিয়েছেন আইনজীবী আমিনুল ইসলাম।
২৯ নভেম্বর দণ্ড ও সাজা স্থগিত চেয়ে সাবিরা সুলতানার করা আবেদনের শুনানি নিয়ে বিচারপতি মো. রইস উদ্দিনের হাইকোর্টের একক বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদেশের পরে ওইদিন আইনজীবী আমিনুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেছিলেন, ‘আবেদনের প্রেক্ষিতে সাবিরা সুলতানার দণ্ড এবং সাজা স্থগিত করেছে হাইকোর্ট। এই আদেশের ফলে সাবিরা সুলতানা আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন। ’
এর আগে সাজা স্থগিতে বিএনপির ৫ নেতার আবেদন খারিজ করেছেন হাইকোর্টের একটি দ্বৈত বেঞ্চ। ওই খারিজ আদেশে আদালত বলেছেন, সংবিধানের ৬৬ (২) (ঘ) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী কারও দুই বছরের বেশি সাজা বা দণ্ড হলে সেই দণ্ড বা সাজার বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল বিচারাধীন থাকা অবস্থায় তিনি নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না।
এর বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করেছিলেন বিএনপি নেতা ডা. জাহিদ। আপিল বিভাগ সে আবেদনের ওপর ‘নো অর্ডার’ দেন। অর্থাৎ হাইকোর্টের আদেশ বহাল।
তখন দুদক আইনজীবী বলেছেন, এ আদেশের ফলে ২ বছরের বেশি দণ্ডিতরা আর নির্বাচনে অংশ নিতে পারেবন না।
১২ জুলাই দুর্নীতি দমন আইন ২০০৪ সালের ২৬ (২) ও ২৭ (১) ধারায় তিন বছর করে তাকে ছয় বছরের দণ্ড দেন ঢাকার একটি আদালত।
পরে ১৭ জুলাই বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পন করলে আদালত জামিন নামঞ্জুর করেন।
আপিলের পর ৩০ জুলাই হাইকোর্ট শুনানির জন্য আপিল গ্রহণ করেন। গত ৬ আগস্ট হাইকোর্ট থেকে জামিন পান সাবিরা সুলতানা।
এদিকে গত ১৪ অক্টোবর সাবিরা সুলতানা তার সাজা ও দণ্ড স্থগিত চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেন। তবে হাইকোর্টের একটি একক বেঞ্চ সে আবেদন শুনানি করতে অপারগতা প্রকাশ করে বিব্রতবোধ করেন।
তখন নিয়মানুযায়ী আবেদনটি প্রধান বিচারপতির কাছে পাঠানো হলে তিনি শুনানির জন্য বিচারপতি মো. রইস উদ্দিনের বেঞ্চে পাঠান।
বাংলাদেশ সময়: ১২১৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০২, ২০১৮
ইএস/এমএ