বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম ও বিচারপতি মোহাম্মদ আলীর হাইকোর্ট বেঞ্চ সোমবার (০৩ ডিসেম্বর) এই আদেশ দেন। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট আহসানুল করিম।
২০ দলীয় জোট ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহারের বিরুদ্ধে অবস্থান নিলেও ভোলার জনগণের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে এই ভোটযন্ত্র ব্যবহারের জন্য নির্বাচন কমিশনে (ইসি) গত ৩০ নভেম্বর আবেদন করেছিলেন ওই জোটের শরিক বিজেপি প্রধান আন্দালিব রহমান পার্থ।
লিখিত আবেদনে পার্থ বলেন, আমি আন্দালিব রহমান, চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি-বিজেপি, আমার নির্বাচনী এলাকা ১১৫ ভোলা-১ এর নির্বাচনে ইভিএম পদ্ধতিতে ভোটগ্রহণের জন্য আবেদন জানাচ্ছি।
‘ইভিএম ব্যবহারের জন্য আমি জোর দাবি জানাচ্ছি এবং এই ইভিএম ব্যবহারের জন্য সরকারি নিয়ম অনুযায়ী খরচ বহন করতেও আমি রাজি আছি। ইভিএমের ব্যালট পেপার চালু করতে সহকারী প্রিজাইডিং অফিসারের আঙ্গুলের ছাপে যে ২৫ শতাংশ প্রক্রিয়াকরণ করা আছে সেটা কামিয়ে ৫ থেকে ১০ শতাংশে নিয়ে আসা হলে আরো স্বচ্ছতা আসবে। বিভিন্ন পত্রিকা সূত্রে জানতে পারলাম, নির্বাচন কমিশন আপাতত ছয়টি আসনে ইভিএম পদ্ধতিতে ভোটগ্রহণ করবে। যদিও আরো অনেক আসনে ইভিএম পদ্ধতিতে ভোটগ্রহণের ব্যবস্থা করার সক্ষমতা ও জনবল নির্বাচন কমিশনের রয়েছে। এ অবস্থায় আমার নির্বাচনী আসনে ইভিএম এ ভোটগ্রহণের জোর দাবি জানাচ্ছি। ’
চিঠিতে তিনি উল্লেখ করেছেন, ‘গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান এর ১৯(১) ধারা অনুযায়ী সকল নাগরিকের জন্য সুযোগের সমতা নিশ্চিত করতে রাষ্ট্র সচেষ্ট হইবে বলিয়া উল্লেখিত। আশা করি, বাংলাদেশের সংবিধানের আলোকে ভোলা-১ (সদর) আসনের পক্ষ হইতে এই দাবি আপনি বিবেচনা করবেন। এখানে উল্লেখ্য যে, ক্ষমাতসীন আওয়ামী লীগ ইভিএমের পক্ষে। সুতারং ভোলা সদর আসনের আওয়ামী লীগের প্রার্থী নীতিগতভাবে বিরুদ্ধে অবস্থান নিতে পারেন না। ’
‘২০ দলীয় জোট ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ইভিএম ব্যবহারের বিরুদ্ধে থাকা সত্ত্বেও ভোলার জনগণের দাবিকে সামনে রেখে বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি-বিজেপির পক্ষ থেকে ভোলা সদর আসনে ইভিএম পদ্ধতির জন্য জোর অনুরোধ জানাচ্ছি। অন্যথায় এটা আমার এবং আমার নির্বাচনী আসন ভোলা-১ (সদর) আসনের জনগণের প্রতি বৈষম্যমূলক সিদ্ধান্ত হবে, যা কিনা বাংলাদেশের সংবিধানের ধারা ২৭ এর পরিপন্থি। ’
এ আবেদনের পর ইসির সাড়া না পেয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন পার্থ।
এর আগে ২৬ নভেম্বর বিকেলে ৪৮টি আসনের মধ্যে দৈবচয়ন পদ্ধতিতে নির্ধারণ করা হয় ইভিএম অনুষ্ঠেয় ভোটের ছয় আসন। আসন ছয়টি হলো- ঢাকা-১৩, ঢাকা-৬, চট্টগ্রাম-৯, রংপুর-৩, খুলনা-২ ও সাতক্ষীরা ২।
আগামী ৩০ ডিসেম্বর সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ২ ডিসেম্বর মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই করা হয়। আর প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ৯ ডিসেম্বর। ১০ ডিসেম্বর প্রতীক বরাদ্দ করবে নির্বাচন কমিশন।
বাংলাদেশ সময়: ১৫০৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৩, ২০১৮
ইএস/এমএ