মঙ্গলবার (৪ ডিসেম্বর) বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কে এম হাফিজুল আলমের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আসামিপক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী একেএম ফয়েজ।
রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল হেলেনা বেগম চায়না।
আমিন উদ্দিন জানান, মুক্তিযোদ্ধা কোটায় রাজশাহীতে পুলিশের কনস্টেবল (নম্বর-৯৯৯০) হিসেবে পদায়ন করা হয়। পরে ঢাকা মেট্রোপলিটন ট্রাফিক পূর্ববিভাগে বদলি হয়ে আসেন। তিনি শিক্ষাগত যোগ্যতায় ১৯৯৮ সালে বগুড়ার সোনাতলা উপজেলার তেকানী চুকাইনগর এএম উচ্চ বিদ্যালয় থেকে দ্বিতীয় শ্রেণিতে এসএসসি পাসের কথা উল্লেখ করেছেন।
আবেদনপত্রের সঙ্গে বাবা হিসেবে মো. আবদুর রাজ্জাকের মুক্তিযোদ্ধার সনদ দাখিল করেন। আদতে তিনি এসএসসি পাস করেননি। তার বাবার নাম মো. আবদুস সাত্তার। জালিয়াতির বিষয়টি উদঘাটন হওয়ার পর দুদকের সহকারী পরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলম গত ৫ অক্টোবর বগুড়া সদর থানায় মামলা দায়ের করেন।
এ মামলায় আগাম জামিন আবেদনের পর মঙ্গলবার হাইকোর্ট তাকে জামিন না দিয়ে চার সপ্তাহের মধ্যে ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানান আমিন উদ্দিন মানিক।
আইনজীবী নওশের আলী মোল্লা জানান, তাদের আবেদনপত্রে বলা হয়েছে, তাকে চাকরিচ্যুত (ডিসমিসড) করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৪, ২০১৮
ইএস/এএ