একইসঙ্গে মামলা দু’টির কার্যক্রম স্থগিত করে নথিও তলব করা হয়েছে।
এ দুই মামলা বাতিলে করা আবেদনের শুনানি নিয়ে বুধবার (৫ ডিসেম্বর) বিচারপতি মো. রেজাউল হক ও বিচারপতি জাফর আহমেদের বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন খন্দকার মাহবুব হোসেন। সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী মাসুদ রানা। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল খুরশীদুল আলম।
পরে খুরশীদুল আলম ও মাসুদ রানা জানান, আদালত দুই মামলায় ছয় মাসের জামিন দিয়ে মামলার কার্যক্রমের ওপর স্থগিতাদেশ দিয়ে নথি তলব করেছেন। এর আগে গত ৮ নভেম্বর এই দুই মামলা বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করে
মইনুল হোসেন।
১৬ অক্টোবর মধ্যরাতে বেসরকারি টেলিভিশন ‘একাত্তরে’ টক-শোতে মাসুদা ভাট্টি লাইভে যুক্ত হওয়া ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনকে প্রশ্ন করেন- ‘সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি আলোচনা চলছে, আপনি সদ্য গঠিত জাতীয় ঐক্যফ্রন্টে এসে জামায়াতের প্রতিনিধিত্ব করছেন কিনা?’
মইনুল হোসেন এ প্রশ্নের জবাব দেওয়ার একপর্যায়ে মাসুদা ভাট্টিকে ‘চরিত্রহীন’ বলে মন্তব্য করেন।
এমন মন্তব্যের পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় ওঠে। এই বক্তব্য প্রত্যাহার করে মইনুল হোসেনকে প্রকাশ্য ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানিয়ে বক্তৃতা-বিবৃতি দেয় বিভিন্ন ব্যক্তি ও সংগঠন।
এরপর রংপুর ও জামালপুরসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে তার বিরুদ্ধে মানহানি ও ডিজিটাল আইনে মামলা হয়।
রংপুরে করা মানহানির এক মামলায় ২২ অক্টোবর রাত পৌনে ১০টার দিকে রাজধানীর উত্তরায় জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সভাপতি আ স ম আবদুর রবের বাসা থেকে মইনুল হোসেনকে গ্রেফতার করা হয়।
এরপর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাকে ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) কার্যালয়ে নেওয়া হয়। পরে আদালতে তোলা হলে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৪৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৫, ২০১৮
ইএস/এএ