খারিজ হয়েছে ধানের শীষ প্রতীকে চেয়ে করা তার ছেলে শাহাদৎ বিন জামানের রিটও ।
পৃথক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে বুধবার (২৬ ডিসেম্বর) বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে আবুল কালাম আজাদের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান। নির্বাচন কমিশনের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মাহবুবে আলম। রশিদুজ্জামান মিল্লাতের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার আব্দুল্লাহ আল মামুন। শাহাদৎ বিন জামানের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল।
পরে খুরশীদ আলম খান বলেন, সংসদ সদস্য পদে থেকে আওয়ামী লীগ প্রার্থী সাবেক তথ্যমন্ত্রী আবুল কালাম আজাদ নির্বাচন করতে পারেন না মর্মে তারা রিট করেছেন। তাদের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে এটা লাভজনক পদ। কিন্তু আমাদের বক্তব্য হচ্ছে, এমপি পদ লাভজনক নয়। এছাড়া আবুল কালাম আজাদের মনোনয়ন বৈধ হওয়ার পর নির্বাচন কমিশনে কোনো আপিল করেননি রিটকারী পক্ষ।
তিনি আরও বলেন, ধানের শীষ প্রতীক চেয়ে শাহাদাৎ জামান রিট করেছিলেন। আমরা বলেছি প্রার্থী ফাইনালাইজ হওয়ার পরে কিংবা রিটার্নিং অফিসার গেজেট জারি করার পরে এটার কোনো সুযোগ নেই। এছাড়া তারা এর জন্য নির্বাচন কমিশন কিংবা রিটার্নিং অফিসারের কাছে আবেদন করেননি।
আদালত দুটি রিটই খারিজ করে দিয়েছেন বলে জানান খুরশীদ আলম খান।
এর আগে ১৩ ডিসেম্বর ওই আসনের আওয়ামী লীগ প্রার্থী সাবেক তথ্যমন্ত্রী আবুল কালাম আজাদের করা রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে ১৩ ডিসেম্বর হাইকোর্ট রশিদুজ্জামান মিল্লাতের মনোনয়নপত্রের ওপর স্থগিতাদেশ দেন।
এর বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদনের পর ১৮ ডিসেম্বর প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন আপিল বেঞ্চ ‘নো অর্ডার’ আদেশ দেন। ফলে তিনি আর নির্বাচন করতে পারবেন না।
হাইকোর্টের আদেশের পর আইনজীবী খুরশীদ আলম খান বলেছিলেন বলেন, রশিদুজ্জামান মিল্লাত দণ্ডিত। এ কারণে রিটার্নিং অফিসার তার মনোনয়ন বাতিল করেছিলো। কিন্তু তিনি নির্বাচন কমিশেন আপিল করে প্রার্থিতা ফিরে পান। নির্বাচন কমিশনের এ সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে রিট করেন সাবেক তথ্যমন্ত্রী।
জামালপুর-১ আসনে এম রশিদুজ্জামান মিল্লাত, তার ছেলেসহ তিনজনকে মনোনয়ন দিয়েছিলো বিএনপি। পরে মিল্লাতকে ফাইনাল চিঠি দেওয়া হয়েছিলো।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৬, ২০১৮
ইএস/এমজেএফ