রোববার (২০ জানুয়ারি) ১১ মামলার মধ্যে একটি মামলার অভিযোগপত্র গ্রহণের জন্য ও বাকি ১০ মামলা অভিযোগ গঠন বিষয়ে শুনানির জন্য দিন ধার্য ছিলো।
মামলাগুলোর অধিকাংশই হাইকোর্টে স্থগিত আছে জানিয়ে শুনানির জন্য সময় বাড়ানোর আবেদন করেন খালেদা জিয়ার আইনজীবী।
পরে উভয়পক্ষের শুনানি শেষে খালেদা জিয়ার আইনজীবীর আবেদন মঞ্জুর করেন ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশ। এ সময় পরবর্তী শুনানির জন্য ১৭ ফেব্রুয়ারি নতুন করে এ দিন ধার্য করেন।
মামলাগুলোর মধ্যে নাশকতার অভিযোগে রাজধানীর দারুস সালাম থানার আটটি, যাত্রাবাড়ী থানার একটি হত্যাসহ দুইটি এবং রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে শাহবাগ একটি মামলা রয়েছে।
২০১৫ সালের ২৪ জানুয়ারি যাত্রাবাড়ীর কাঠেরপুল এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে আগুন দিয়ে নূর আলম নামে এক যাত্রী হত্যার অভিযোগে যাত্রাবাড়ী থানায় দুইটি মামলা করা হয়। একই বছরের বিভিন্ন সময় দারুস সালাম থানা এলাকায় নাশকতার ও গাড়ি পোড়ানোর অভিযোগ এনে দারুসসালাম থানায় আটটি মামলা করে পুলিশ।
এছাড়া ২০১৫ সালের ২১ ডিসেম্বর রাজধানীর রমনার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে ‘মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশে’ প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। এ সময় তিনি বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধে শহীদের সংখ্যা নিয়ে বিতর্ক আছে। ’
পাশাপাশি তিনি দাবি করেন, ‘তিনি (বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নাম উল্লেখ না করে) বাংলাদেশের স্বাধীনতা চাননি। তিনি পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হতে চেয়েছিলেন। জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা না দিলে মুক্তিযুদ্ধ হতো না। ’
পরে ২০১৬ সালের ২৫ জানুয়ারি সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সম্পাদক ড. মোমতাজ উদ্দিন আহমদ মেহেদী খালেদা জিয়ার এই বক্তব্যকে দেশদ্রোহী অ্যাখ্যা দিয়ে শাহবাগ থানায় রাষ্ট্রদ্রোহ মামলাটি করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২০, ২০১৯
এমএআর/এমএ