বুধবার (২০ জানুয়ারি) মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জসিম উদ্দিন গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে আগামী ১৮ ফেব্রুয়ারি প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত ও জাতিগত বিভেদ সৃষ্টির অভিযোগে এ সংক্রান্ত মামলা দায়ের করা হয়।
এরপর গত ২৩ জুলাই এ বি সিদ্দিকী আইনজীবী আবুল কালাম আজাদ খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আবেদন করেন। শুনানি শেষে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এ বিষয়ে আদেশের তারিখ ২০ জানুয়ারি ধার্য করেছিলেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, খালেদা জিয়া ২০১৪ সালের ১৪ অক্টোবর বিকেলে ইঞ্জিনিয়ার ইনস্টিটিউটে (আইইবি) শুভ বিজয়া অনুষ্ঠানে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়ের সময় বলেছিলেন, ‘বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ধর্ম নিরপেক্ষতার মুখোশ পরে আছে। আসলে দলটি ধর্মহীনতায় বিশ্বাসী। আওয়ামী লীগের কাছে কোনো ধর্মের মানুষ নিরাপদ নয়। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে হিন্দুদের সম্পত্তি দখল করেছে। হিন্দুদের ওপর হামলা করেছে। ’
মামলায় আরো বলা হয়, খালেদা জিয়ার এসব বক্তব্য যেমন ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করেছে, তেমনি হিন্দু ও মুসলমানদের মধ্যে শ্রেণীগত বিভেদও সৃষ্টি করেছে। যা দণ্ডবিধির ১৫৩(ক) ও ২৯৫(ক) ধারার অপরাধ।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শাহবাগ থানার ওসি (তদন্ত) জাফর আলী বিশ্বাস গত বছরের ৩০ জুন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে প্রতিবেদন দাখিল করেন। প্রতিবেদনে তিনি উল্লেখ করেন, খালেদা জিয়া ২০১৪ সালের ১০ অক্টোবর বিকেল আনুমানিক ৫টার দিকে প্রকাশ্যে তার বক্তব্যের মাধ্যমে বাংলাদেশের বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার জনগণ ও বিভিন্ন ধর্মাবলম্বী জনগোষ্ঠীর মধ্যে শত্রুতা বা ঘৃণার ভাব সৃষ্টির উদ্যোগ গ্রহণ করেন। একইসঙ্গে তিনি নাগরিকদের ধর্মীয় অনুভূতিতে কঠোর আঘাত আনার অভিপ্রায় ইচ্ছাকৃত ও বিদ্বেষাত্মকভাবে ধর্ম ও ধর্মীয় বিশ্বাসকে অবমাননা করেছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৪৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২০, ২০১৯
এমএআর/জেডএস