বুধবার (২৩ জানুয়ারি) ঢাকার তিন নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক আবু সৈয়দ দিলজার হোসেন এ রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ডিত অপর আসামিরা হলেন- প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান মো. শহিদুজ্জামান (শাহিন) (পলাতক), নির্বাহী পরিচালক মাসুদুর রহমান (পলাতক), জিএম এম জামশেদ রহমান, উপদেষ্টা মঞ্জুর এহসান চৌধুরী (পলাতক) ও ইউনিল্যান্ড লিমিটেডের পরিচালক এইচ এম আরষাদ উল্যাহ।
রায়ে আসামিদের কারাদণ্ডসহ দুই হাজার ৭০২ কোটি ৪১ লাখ ১১ হাজার ৭৮৪ টাকা জরিমানাও করা হয়েছে। যা রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দিতে হবে। ১৮০ দিনের মধ্যে জরিমানার অর্থ রাষ্ট্রের কোষাগারে জমা দিতে আসামিদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অন্যথায় অর্থ আদায়ের জন্য রাষ্ট্র আসামিদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে পারবে।
এছাড়া রায়ে মামলা সংক্রান্ত বিভিন্ন হিসাবে অবরুদ্ধ থাকা ৪২০ কোটি ১৪ লাখ ২৯ হাজার ৬৬৩ দশমিক ৫ টাকা রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। একই সঙ্গে রায়ে এ মামলা সংক্রান্তে চার্জশিটে উল্লেখিত ইউনিপে-টু ইউ বাংলাদেশ লিমিটেড নামে এবং আসামিদের পরিচালিত সম্পত্তিও রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
রায় ঘোষণার সময় কারাগারে থাকা দুই আসামি মুনতাসির হোসেন ও জামশেদ রহমানকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। আর জামিনে থাকা এইচএম আরষাদ আদালতে হাজির হন। রায় ঘোষণার পর আরষাদের জামিন বাতিল করে তাদের দণ্ডপরোয়ানা মূলে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। আর পলাতক তিনআসামির বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।
অবৈধভাবে প্রায় সাড়ে ১৩০০ কোটি টাকা পাচারের অভিযোগে ২০১১ সালের ২৫ জানুয়ারি দুদকের সহকারী পরিচালক তৌফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে শাহবাগ থানায় এ মামলা করেন।
তৌফিকুল ইসলাম মামলাটি তদন্ত করে ওই বছরের ২২ জুন আদালতে চার্জশিট দেন। ২০১৫ সালের ৬ জুলাই আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জগঠন করেন আদালত। মামলাটিতে চার্জশিটভুক্ত ২৭ জন সাক্ষীর মধ্যে ২৩ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন আদালত।
বাংলাদেশ সময়: ১৯০২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৩, ২০১৯
এমএআর/এমএ