রায়কে ঘিরে আদালত চত্বরে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এরই মধ্যে মামলার প্রধান আসামি রথীশ চন্দ্রের স্ত্রী দীপা ভৌমিক ওরফে স্নিগ্ধাকে রংপুর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে জেলা দায়রা জজ আদালতে নিয়ে আসা হয়েছে।
কিছুক্ষণের মধ্যে তাকে এজলাসে তোলা হবে। আলোচিত রথীশ চন্দ্র হত্যা মামলায় মোট ৩৭জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়। পরে গত চলতি বছরের ২১ জানুয়ারি উভয়পক্ষের যুক্তিতর্ক শেষে মঙ্গলবার রায় ঘোষণার দিন ধার্য করেন আদালত।
এ মামলার চার্জশিটভুক্ত দুই আসামির মধ্যে একমাত্র জীবিত আছেন নিহত রথীশ চন্দ্রের স্ত্রী স্নিগ্ধা সরকার দীপা। তার প্রেমিক কামরুল ইসলাম গত বছরের ১০ নভেম্বর ভোরে কারাগারে বন্দি থাকা অবস্থায় আত্মহত্যার চেষ্টা করলে তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে সেখানে তাকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা।
রথীশ চন্দ্র রংপুর জেলা আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক, জেলা আইনজীবী সমিতির সহ সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। রংপুর জেলা সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদকও ছিলেন তিনি। জেলা আইনজীবী সমিতির সহ সাধারণ সম্পাদক বাবু সোনা নামে পরিচিত এই আইনজীবী হিন্দুধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্ট ও রংপুর জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি।
এ ছাড়া তিনি জাপানি নাগরিক কুনিও হোশি ও মাজারের খাদেম হত্যা মামলার সরকারি কৌঁসুলি ছিলেন। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি এ টি এম আজহারুল ইসলামের মামলারও সাক্ষী ছিলেন তিনি।
গত বছরের ২৯ মার্চ রথীশ চন্দ্র ভৌমিক নিখোঁজ হন বলে পরিবারের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়। পাঁচদিন পর (৩ এপ্রিল) রথীশের বাড়ি থেকে কিছু দূরে তাজহাট মোল্লাপাড়ায় একটি নির্মাণাধীন বাড়িতে বালুচাপা দেওয়া রথীশের লাশ উদ্ধার করে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
পরে রথীশের ভাই সুশান্ত ভৌমিক মরদেহ শনাক্ত করেন। এ ঘটনায় বাদী হয়ে থানায় মামলাও করেন তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১০৫০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৯, ২০১৯
এমএ/