মঙ্গলবার (২৯ জানুয়ারি) ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মজিবুর রহমানের সাক্ষ্য দেন তিনি।
এ মামলায় আসামিরা হলেন- হামলার মূল সমন্বয়ক বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত কানাডার নাগরিক তামিম চৌধুরীর সহযোগী আসলাম হোসেন ওরফে রাশেদ ওরফে আবু জাররা ওরফে র্যাশ, অস্ত্র ও বিস্ফোরক সরবরাহকারী নব্য জেএমবি নেতা হাদিসুর রহমান সাগর, নব্য জেএমবির অস্ত্র ও বিস্ফোরক শাখার প্রধান মিজানুর রহমান ওরফে বড় মিজান, জঙ্গি রাকিবুল হাসান রিগ্যান, জাহাঙ্গীর আলম ওরফে রাজীব ওরফে রাজীব গান্ধী, হামলার অন্যতম পরিকল্পনাকারী আব্দুস সবুর খান (হাসান) ওরফে সোহেল মাহফুজ, শরিফুল ইসলাম ও মামুনুর রশিদ।
আসামিদের মধ্যে প্রথম ৬ জন কারাগারে আছেন। এদিন তাদের কারাগারে খেকে আদালতে হাজির করা হয়। মামলার অপর দুই আসামি এ মামলায় পলাতক থাকলেও অন্য মামলায় পলাতক আসামি মামুনুর রশিদকে গত ১৯ জানুয়ারি রাতে গাজীপুরের বোর্ডবাজারের একটি বাস থেকে আটক করে র্যাব।
পরে রাজধানীর সবুজবাগ থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় ৫ দিনের রিমান্ড শেষে ১৬৪ ধারায় দোষ স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দেন। আব্দুস সবুর খান (হাসান) ওরফে সোহেল মাহফুজ ওরফে খালেদকে গত শুক্রবার (২৫ জানুয়ারি) বিকেল ৩টায় দিকে চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল উপজেলা থেকে র্যাব থাকে আটক করে। খালেদকে রাজধানীর খিলগাঁও থানায় একটি মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করে আদালতে পাঠানো হয়। মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ৬ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। আসামি খালেদ বতর্মানে পুলিশ রিমান্ডে রয়েছেন। পলাতক দুই আসামি গ্রেফতার হলেও এখানো পর্যন্ত হলি আর্টিজান রেস্টুরেন্টে জঙ্গি হামলা মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়নি।
মামলাটিতে গতবছর ৮ আগস্ট আট আসামির বিরুদ্ধে দাখিল করা চার্জশিট গ্রহণ করেন আদালত।
চার্জশিটে নর্থ-সাউথ ইউনিভার্সিটির সাবেক শিক্ষক হাসনাত রেজা করিমের বিরুদ্ধে ওই ঘটনায় জড়িত থাকার বিষয়ে তথ্য-প্রমাণ না পাওয়ায় তাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
এর আগে গত ২৩ জুলাই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কাউন্টার টেররিজম বিভাগের পরিদর্শক হুমায়ূন কবির মামলাটিতে চার্জশিট দাখিল করেন। মামলাটিতে গত বছর ২৬ নভেম্বর আট আসামির বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করে বিচার শুরু হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৯, ২০১৯
এমএআর/এএ