বুধবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি এস এম মজিবুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে আসামিপক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন।
পরে ড. বশির উল্লাহ বাংলানিউজকে বলেন, ‘আদালত তাকে জামিন না দিয়ে আবেদন কার্যতালিকা থেকে বাদ দিয়েছেন। ’
গাইবান্ধা-১ (সুন্দরগঞ্জ) আসনের আওয়ামী লীগ দলীয় সাবেক সংসদ সদস্য মঞ্জুরুল ইসলাম লিটন ২০১৬ সালের ৩১ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় সুন্দরগঞ্জের নিজ বাড়িতে দুর্বৃত্তদের গুলিতে গুরুতর আহত হন। পরে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় লিটনের বোন তাহমিদা বুলবুল বাদী হয়ে অজ্ঞাত ৪-৫ জনকে আসামি করে সুন্দরগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
ঘটনার এক মাস ২১ দিন পর বগুড়া শহরের গরীব শাহ ক্লিনিক থেকে জাতীয় পার্টির সাবেক সংসদ সদস্য ডা. আব্দুল কাদের খানকে গ্রেফতার করে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। পরে এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সুন্দরগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবু হায়দার মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান ২০১৭ সালের ৩০ এপ্রিল গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ আমলি আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
অভিযোগপত্রে একই আসনের (সুন্দরগঞ্জ) কাদের খানসহ আটজনকে আসামি করা হয়।
কাদের খান ছাড়া অন্য আসামিরা হলেন- আনোয়ারুল ইসলাম রানা, শাহীন মিয়া, রাসেদুল ইসলাম ওরফে মেহেদী হাসান, কাদের খানের গাড়িচালক আব্দুল হান্নান, শামছুজ্জোহা, বামনডাঙ্গা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক দপ্তর সম্পাদক (বহিষ্কৃত) চন্দন কুমার সরকার ও তার ভগ্নিপতি সুবল চন্দ্র রায়।
এর মধ্যে চন্দন কুমার সরকার পলাতক রয়েছেন। ২০১৮ সালের ৮ এপ্রিল এ মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১২৩১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০১৮
ইএস/এমএ