সোমবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার ছয় নম্বর বিশেষ জজ ড. শেখ গোলাম মাহবুবের আদালতে আইসিবি ব্যাংকের সিনিয়র অফিসার সৈয়দ মোহাম্মদ আলী সাক্ষ্য দেন। মওদুদ আহমদের আইনজীবী আব্দুর রেজ্জাক খান তাকে জেরা করেন।
জেরা শেষে আদালত পরবর্তী সাক্ষ্যের জন্য ২৪ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করেন। মামলাটিতে এখন পর্যন্ত ৫ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেছেন আদালত।
গত ১৪ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংক বনানী শাখার ম্যানেজার সৈয়দ সালাউদ্দিন স্বাক্ষ্য দিয়েছিলেন।
২০০৭ সালের ৩ জুলাই মওদুদ আহমদকে তার নিজের, স্ত্রীর ও পোষ্যদের নামে-বেনামে অর্জিত যাবতীয় স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ ও তার উৎস জানাতে নির্দেশ দেয় দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
কারাগারে থাকা অবস্থায় ওই বছরের ২৩ জুলাই সম্পদের হিসাব বিবরণী দাখিল করেন তিনি।
মওদুদ আহমদের দাখিল করা সম্পদের হিসাব বিবরণীতে তার জ্ঞাত আয়ের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয়, এমন ৭ কোটি ৩৮ লাখ ৬৪ হাজার ২৮৭ টাকা মূল্যের সম্পদ অর্জন করাসহ ৪ কোটি ৪০ লাখ ৩৭ হাজার ৩৭৫ টাকার সম্পদের তথ্য গোপন করেছেন মর্মে দুদকের অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসে।
এরপর ২০০৭ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর দুদকের উপ-সহকারী পরিচালক শরিফুল হক সিদ্দিকী বাদী হয়ে অবৈধ সম্পদ অর্জন ও তথ্য গোপনের অভিযোগে রাজধানীর গুলশান থানায় মওদুদ আহমদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। তদন্ত শেষে ২০০৮ সালের ১৪ মে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়।
চার্জশিটে বলা হয়, মওদুদ আহমদ তার দেওয়া হিসাব বিবরণীতে ৪ কোটি ৪০ লাখ ১৮ হাজার টাকা মূল্যের সম্পদের তথ্য গোপন করেছেন। জ্ঞাত আয়ের বাইরে ৯ কোটি ৪ লাখ ৩৭ হাজার ২৩৩ টাকার সম্পদের তথ্য পাওয়া গেছে। গত বছরের ২১ জুন মামলাটিতে চার্জ গঠন করেন আদালত।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০১৯
এমএআর/এমজেএফ