রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি পেলে আপিল করার কথা জানিয়েছেন উভয়পক্ষ।
২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি পিলখানার বিডিআর সদর দফতরে ৫৭ জন সেনা সদস্যসহ ৭৪ জনকে হত্যার ঘটনা ঘটে।
রায়ে ১৩৯ জনের মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখেন। এর মধ্যে ১ জন মারা গেছেন। বাকি ১২ জনের মধ্যে ৮ জনের সর্বোচ্চ সাজা কমিয়ে যাবজ্জীবন ও অন্য চারজনকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়।
এ মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল জাহিদ সরওয়ার কাজল বলেন, এটি অনেক বড় মামলা। আমরা পূর্ণাঙ্গ রায়ের অপেক্ষায় আছি। আশা করছি শিগগিরই হাইকোর্টের রায় প্রকাশ পাবে। রায় পাওয়ার পর পর্যালোচনা করে উচ্চতর আদালতে আপিল করা হবে।
অপরদিকে আসামিপক্ষের আইনজীবীরাও রায় পেলে আপিলের কথা জানিয়েছেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ১৫২ জনের বিষয় ছাড়াও হাইকোর্ট যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত ১৬০ জনের মধ্যে ১৪৬ জনের সাজা বহাল রেখেছেন। বাকি ১৪ জনের মধ্যে দু’জন আগেই মারা গেছেন। আর অন্য ১২ জন খালাস পেয়েছেন।
খালাসপ্রাপ্ত ৬৯ জনের সাজা চেয়ে ফৌজদারি আপিল করেছিলেন রাষ্ট্রপক্ষ। তাদের মধ্যে ৩১ জনকে যাবজ্জীবন ও চারজনকে সাতবছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন হাইকোর্ট। আর অন্য ৩৪ জনের খালাসের রায় বহাল রয়েছে। সব মিলিয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড পেয়েছেন ১৮৫ জন।
এদিকে বিচারিক আদালত ২৫৬ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়েছিলেন। তাদের মধ্যে তিনজন মারা গেছেন। বাকি ২৫৩ জনের মধ্যে ১৮২ জনকে ১০ বছর করে, ২ জনকে ১৩ বছর করে, ৮ জনকে ৭ বছর করে এবং ৪ জনকে ৩ বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
বাকিদের মধ্য থেকে খালাস পেয়েছেন ২৯ জন। অবশ্য ২৮ জন আপিলই করেননি।
হাইকোর্টে রায়দানকারী বিচারকরা হলেন- বিচারপতি মো. শওকত হোসেন, বিচারপতি মো. আবু জাফর সিদ্দিকী ও বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার।
এদিকে হাইকোর্টের রায়ে খালাস পাওয়া আওয়ামী লীগ নেতা তোরাব আলী মুক্তি পাওয়ার আগেই অসুস্থ হয়ে ২০১৮ সালের ৫ জানুয়ারি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন।
বাংলাদেশ সময়: ০৮২৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০১৯
ইএস/আরএ