আদালত বলেছেন, আমরা ঘোষিত তফসিল বাধাগ্রস্ত না করেই তার আবেদন নিষ্পত্তি করতে বলছি।
সোমবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ ও বিচারপতি মো. ইকবাল কবিরের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
শুনানিতে আদালত বলেন, আমরা (ইলেকশন) শিডিউল পেছাবো না। তখন অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, আপনারা একটা আদেশ দিতে পারেন। উনি ভোটার হতে চেয়েছেন। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে বলা যেতে পারে তাকে ভোটার করার বিষয়টি বিবেচনা করা হোক।
এরপর আদালত আদেশ দেন।
আদালতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। রিট আবেদনের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল।
আদেশের পর রুহুল কুদ্দুস কাজল বলেন, ফাহমিদা মজিদ রোকেয়া হলের প্রভোস্টের কাছে যে আবেদন দিয়েছেন সেটা ২৪ ঘণ্টার মধ্যে নিষ্পত্তি করতে প্রধান রিটার্নিং অফিসারকে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। যখন তাকে বিবেচনা করা হবে তখন সে নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার যোগ্য এবং নির্বাচন করার বিষয়টি বিবেচনা করতে প্রধান রিটার্নিং কর্মকর্তাকে বলেছেন।
ব্যারিস্টার কাজল বলেন, আদালত বলছেন নির্বাচনের সে শিডিউল বা তারিখ সেটাকে অল্টার না করে এ আদেশগুলো প্রতিপালন করেন। আদালত রুল ইস্যু করেছেন।
ভোটার তালিকায় নাম না থাকায় ডাকসু (ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ) নির্বাচন নিয়ে ২৪ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্টে রিট করেছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের এক ছাত্রী।
রিটকারী ফাহমিদা মজিদ উষা একইসঙ্গে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় ছাত্রী বিষয়ক সম্পাদক।
ওইদিন তার আইনজীবী ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল সাংবাদিকদের বলেন, ভোটার তালিকায় রিটকারীর নাম না থাকায় হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়েছে। রিটে নির্বাচনের তফসিল স্থগিত চাওয়া হয়েছে।
রিট আবেদনে প্রকাশিত ভোটার তালিকায় তার নাম অন্তর্ভুক্ত না করা এবং ভোট করতে না দেওয়া কেন অবৈধ হবে না, এই মর্মে রুল জারির আর্জি জানানো হয়েছে।
রিটের বিবাদীরা হচ্ছেন, শিক্ষা সচিব, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে উপাচার্য, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, রেজিস্ট্রার, প্রধান রিটার্নিং কর্মকর্তা অধ্যাপক ড. এস এম মাহফুজুর রহমান ও রোকেয়া হলের প্রভোস্টকে।
গত ১১ ফেব্রুয়ারি ডাকসু নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন প্রধান রিটার্নিং কর্মকর্তা ড. এস এম মাহফুজুর রহমান। ভোটগ্রহণের জন্য ১১ মার্চ সকাল ৮টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত সময় নির্ধারণ করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭০২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৫,২০১৯
ইএস/জেডএস