সোমবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি খিজির আহমেদ চৌধুরীর হাইকোর্ট বেঞ্চ রুল নিষ্পত্তি করে এ রায় দেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী সালাহউদ্দিন দোলন।
রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত তালুকদার ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল আশিক রুবাইয়াত।
পরে সালাহ উদ্দিন দোলন বলেন, বর্তমানে প্রধান শিক্ষক পদটি দ্বিতীয় শ্রেণীর হলেও তারা বেতন পান ১১ ও ১২তম গ্রেডে। অথচ দ্বিতীয় শ্রেণীর অন্য সব চাকরিজীবী দশম গ্রেডে বেতন পান। ফলে সরকারি প্রধান শিক্ষকদের মর্যাদা দিলেও তাদের প্রাপ্য থেকে বঞ্চিত করা হয়েছিল।
তিনি বলেন, এ বিষয়ে ৪৫ জন শিক্ষকের রিট আবেদনের পর আদালত রুল জারি করেন। সোমবার হাইকোর্ট রুল নিষ্পত্তি করে এ রায় দেন।
আইনজীবী সালাহ উদ্দিন দোলন মনে করেন, এ রায় সংক্ষুব্ধদের ক্ষেত্রেই কার্যকর হবে।
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক সমিতির সভাপতি রিয়াজ পারভেজ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তার আইনজীবীকে উদ্ধৃত করে বলেন, ২০১৪ সালের ৯ মার্চ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের দ্বিতীয় শ্রেণীতে উন্নীত করার ঘোষণা দেন। ওই দিনই প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় প্রজ্ঞাপন জারি করলেও পরে মন্ত্রণালয় প্রশিক্ষিত প্রধান শিক্ষকদের জন্য ১১ ও অপ্রশিক্ষিত প্রধান শিক্ষকদের জন্য ১২তম গ্রেড নির্ধারণ করে।
পরে বাংলাদেশ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক সমিতির সভাপতি রিয়াজ পারভেজসহ ৪৫ জন প্রধান শিক্ষক হাইকোর্টে রিট করেন। এ রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে গত বছরের ৫ মার্চ আদালত রুল জারি করেন।
সোমবার সে রুল নিষ্পত্তি করে রায় দেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৫,২০১৯
ইএস/জেডএস