পাশাপাশি তাদের প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এছাড়া মামলা থেকে আনোয়ার হোসেন নামে একজনকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
সোমবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ২টার দিকে সিলেট মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. মফিজুর রহমান ভূঁঞা এ রায় দেন।
আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট মফুর আলী বাংলানিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত অন্য আসামিরা হলেন- ২৬ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক সিটি কাউন্সিলর আশিকুর রহমান আশিক, শহীদুল হক শহীদ, জাবেদ আহমদ, রুবেল আহমদ, কামাল হোসেন, কলিন্স সিংহ, আব্দুল মোমিন, রহিম আলী, শফিক মিয়া, আনহার আলী, আঙ্গুর আলী, আব্দুল হক লিটন, শাহান, লিটন মিয়া, শিপন আহমদ। এদের মধ্যে জাবেদ, রহিম আলী, শফিক মিয়া, আব্দুল হক লিটন ও লিটন মিয়া পলাতক রয়েছেন।
আদালত সূত্র জানায়, ২০০৪ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি বিকেলে তেঁতলী হুমায়ন রশিদ চত্বরে প্রকাশ্য দিবালোকে পূবালী ব্যাংকের ২২ লাখ টাকা ডাকাতি হয়। সিলেটের বিভিন্ন শাখা থেকে শহরের লালদিঘীরপাড় প্রধান শাখায় মাইক্রোবাসে করে টাকা নিয়ে আসছিলেন পূবালী ব্যাংকের জুনিয়ার অফিসার (ক্যাশ) জি এম আতাহার হোসেন। তার সঙ্গে ছিলেন গার্ড মোজাম্মেল আলী, আমানত উল্লাহ ও মাইক্রোবাসচালক মজনু মিয়া। গাড়িটি হুমায়ন রশিদ চত্বরে আসামাত্র ১৫/২০ জন মাইক্রোবাসের গতিরোধ করে হামলা চালিয়ে গাড়িতে থাকা ৮৩ লাখ ৬৪ হাজার টাকার মধ্যে ২২ লাখ টাকা লুট করে নেয়। ডাকাতরা ১৪ রাউন্ড গুলিভর্তি একটি স্ট্যান্ডগানও ছিনিয়ে নেয়। তাৎক্ষণিকভাবে পুলিশ ডাকাতদের পিছু নিলে তারা তেঁতলী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান উছমান আলীর বানেশ্বরপূর বাড়ির পাশে টাকার বস্তা ফেলে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় কয়েকজন আসামিকে আটক করা হয়। পরদিন ডাকাতির ঘটনায় ব্যাংকের জিএম আতাহার হোসেন বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেন।
এ ঘটনায় ২০০৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি তদন্তকারী কর্মকর্তা সিলেট জেলার সহকারী পুলিশ সুপার গিয়াস উদ্দিন আদালতে আসামিদের বিরুদ্ধে মামলার চার্জশিট দাখিল করেন। ২০০৮ সালের ২৮ মে আদালতে চার্জ গঠনের পর মামলার বিচার কার্য শুরু হয়। মামলার দীর্ঘ শুনানীতে ২৩ সাক্ষীদের সাক্ষ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে বিচারক দুপুরে এ রায় দেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪০ ঘন্টা, ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০১৯
এনইউ/আরবি/