৩০ দিনের মধ্যে এসব মামলার তালিকা করে সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলের কাছে পাঠতে হবে।
২০০৭ সালের এক ফৌজদারি মামলার আসামির জামিন শুনানিকালে মঙ্গলবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) বিচারপতি এম, ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে ওই মামলার আসামি শরিফুলের জামিন আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী এটিএম মিজানুর রহমান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ফরহাদ আহমেদ ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল ইউসুফ মাহমুদ মোর্শেদ।
পরে সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল ইউসুফ মাহমুদ মোর্শেদ বলেন, ‘হাইকোর্ট আসামিকে শরিফুলকে অন্তর্বর্তী জামিন দিয়েছেন। এছাড়া আদালত দেশের দায়রা আদালতসূমহে ১০ বছরের পুরনো বিচারাধীন সব ফৌজদারি মামলা ছয় মাসের মধ্যে নিষ্পত্তির নির্দেশ দিয়েছেন। এ সময়ের মধ্যে মামলা নিষ্পত্তি করে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করতেও বলা হয়েছে। ’
আইনজীবীরা জানান, ২০০৭ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি মধ্যরাতে গ্রিনলাইনের একটি যাত্রাবাহী বাস নরসিংদীর সোনাইমুড়ি পাহাড়ের কাছে এলে যাত্রীবেশী ৬/৭ জন ডাকাত গাড়ির চালক, সহকারী ও সুপারভাইজরকে বেঁধে গাড়িটির নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয়। পরে যাত্রীদের অস্ত্র ঠেকিয়ে তাদের মালামাল লুট করে নেমে যায়।
পরদিন বাসযাত্রী নাজমুল হোসেন ফয়সাল এ ঘটনায় নরসিংদীর রায়পুরা থানায় মামলা করেন। এ মামলায় ভৈরবের মানিকদির নয়াহাটি থেকে আসামি শরিফুলকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
গ্রেফতারের পর জামিন পেলেও তা অপব্যবহারের অভিযোগে নরসিংদীর অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালত গত বছরের ১৩ মার্চ শরিফুলের জামিন বাতিল করেন। এরপর শরিফুলকে আবার গ্রেফতার করে পুলিশ।
এরপর নরসিংদীর অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালতে তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর হলে তিনি হাইকোর্টে জামিন আবেদন করেন।
এটি এম মিজানুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, এ মামলাটি ২০০৭ সালে করা। ওই বছরের নভেম্বরে এ মামলার অভিযোগ গঠন করা হলেও এখন পর্যন্ত কোনো সাক্ষ্য গ্রহন হয়নি।
বাংলাদেশ সময়: ১৯১৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৬, ২০১৯
ইএস/এসএইচ