যদিও এ মামলায় তাকে বিচারিক আদালত খালাস দিয়েছিলেন।
পরে দুদকের আপিলের পর রোববার (০৩ মার্চ) বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কে এম হাফিজুল আলমের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল হেলেনা বেগম চায়না। দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী আসিফ হাসান। আসামিপক্ষে ছিলেন এ কে এম ফখরুল ইসলাম।
আমিন উদ্দিন মানিক জানান, ২০১৭ সালের ২১ নভেম্বর ঢাকার একটি বিশেষ জজ আদালত রাজউকের সাবেক ইস্যু ক্লার্ক বর্তমানে স্টেট সেকশনের স্টেনো ক্লার্ক মো. শফিউল্লাহকে নির্দোষ প্রমাণে খালাস দিয়েছিলেন। সে খালাসের বিরুদ্ধে দুদক হাইকোর্টে ২০১৮ সালের ৭ এপ্রিল ফৌজদারি আপিল মামলা দায়ের করেন।
তিনি আরও জানান, ঘটনার বিবরণে দেখা যায়, চাঁদপুরের মতলবের রসুলপুর এলাকার খলিলুর রহমানের ছেলে শফিউল্লাহ অসৎ উদ্দেশে ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে তার অর্পিত দায়িত্ব ও কর্তব্য অবহেলার মাধ্যমে রাজউকের বহুতল ভবনের নকশা অনুমোদন সংক্রান্ত ৫৭টি নথি অথরাইজড অফিসার-১ ও ৩ এর দফতরের রেকর্ড রুমে প্রেরণ না করে সেগুলো বিনষ্ট ও গায়েব করায় তার বিরুদ্ধে দুদকের উপ-সহকারী পরিচালক খন্দকার আখেরুজ্জামান ২০১৩ সালের ১০ অক্টোবর রাজধানীর মতিঝিল থানায় মামলা দায়ের করেন। এ মামলার বিচার শেষে আসামিকে নির্দোষ প্রমাণে বিশেষ জজ খালাস দিয়েছিলেন।
আমিন উদ্দিন মানিক জানান, হাইকোর্ট তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আমলে নিয়ে বাংলাদেশ দণ্ডবিধির দু’টি ধারায় ৪ বছর এবং ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় ৭ বছর নিয়ে মোট ১১ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন।
এখন ১৫ দিনের মধ্যে আসামিকে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। সব ধারার সাজা একসঙ্গে চলবে বিধায় আসামিকে মোট ৭ বছর কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে বলেও জানান আমিন উদ্দিন মানিক।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৬ ঘণ্টা, মার্চ ০৩, ২০১৯
ইএস/আরবি/