সোমবার (১৮ মার্চ) ঢাকার ছয় নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক ড. শেখ গোলাম মাহবুব মামলার সাক্ষগ্রহণের জন্য নতুন এ তারিখ নির্ধারণ করেন।
আদালতে ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদের পক্ষে তার আইনজীবী বোরহান উদ্দিন সাক্ষগ্রহণের জন্য সময়ের আবেদন করেন।
মামলাটিতে মোট সাক্ষী ৭৬ জন। এর মধ্যে ১০ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে।
গত ১৮ ফেব্রুয়ারি আইসিবি ব্যাংকের সিনিয়র অফিসার সৈয়দ মোহাম্মদ আলী, ১৪ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংক বনানী শাখার ম্যানেজার সৈয়দ সালাউদ্দিন সাক্ষ্য দেন।
২০০৭ সালের ৩ জুলাই মওদুদ আহমদকে তার নিজের, স্ত্রীর ও পোষ্যদের নামে-বেনামে অর্জিত যাবতীয় স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ এবং সম্পদের উৎস জানাতে চেয়ে চিঠি দেয় দুদক।
কারাগারে থাকা অবস্থায় ওই বছরের ২৩ জুলাই সম্পদের হিসাব বিবরণী দাখিল করেন ব্যারিস্টার মওদুদ।
কিন্তু দুদক জানায়, মওদুদ আহমদের দাখিল করা সম্পদের হিসাব বিবরণীতে তার জ্ঞাত আয়ের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয়। এছাড়া জ্ঞাত আয় বহির্ভূত ৭ কোটি ৩৮ লাখ ৬৪ হাজার ২৮৭ টাকা মূল্যের সম্পদ অর্জন করাসহ ৪ কোটি ৪০ লাখ ৩৭ হাজার ৩৭৫ টাকার সম্পদের তথ্য গোপন করা হয়েছে বলে দুদকের অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসে।
এরপর ২০০৭ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর দুদকের উপ-সহকারী পরিচালক শরিফুল হক সিদ্দিকী বাদী হয়ে অবৈধ সম্পদ অর্জন ও তথ্য গোপনের অভিযোগে রাজধানীর গুলশান থানায় মওদুদ আহমদের বিরুদ্ধে মামলা করেন। তদন্ত শেষে ২০০৮ সালের ১৪ মে দুদুকের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ ইব্রাহিম আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
চার্জশিটে বলা হয়, মওদুদ আহমদ তার দেয়া হিসাব বিবরণীতে ৪ কোটি ৪০ লাখ ১৮ হাজার টাকা মূল্যের সম্পদের তথ্য গোপন করেছেন। জ্ঞাত আয়ের বাইরে ৯ কোটি ৪ লাখ ৩৭ হাজার ২৩৩ টাকার সম্পদের তথ্য পাওয়া গেছে।
গত বছরের ২১ জুন মামলাটিতে চার্জ গঠন করেন আদালত। রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন দুদকের আইনজীবী মোশারফ হোসেন কাজল; তাকে সহযোগিতা করেন দুদকের আরেক আইনজীবী ফাতেমা খানম নীলা।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪১ ঘণ্টা, মার্চ ১৮, ২০১৯
এমএআর/এমএ