মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) মহানগর হাকিম সাদবীর ইয়াহিয়া আহসান চৌধুরী ১০ হাজার টাকার মুচলেকায় কিরণের জামিন মঞ্জুর করেন।
গত শনিবার (১৬ মার্চ) ঢাকা মহানগর হাকিম আবু সুফিয়ান মো. নোমান বাফুফের সদস্য কিরণের জামিন নাকচ করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
কিরণের জামিনের পক্ষে তার আইনজীবী লিয়াকত হোসেন আদালতকে বলেন, মামলাটি জামিনযোগ্য ধারা, তিনি সমাজের একজন সম্মানিত ব্যক্তি, জামিন পেলে পালাবেন না, উপযুক্ত জামিনদার দেওয়া হবে। আদালত শুনানি শেষে ১০ হাজার টাকার মুচলেকায় তার জামিন মঞ্জুর করেন।
গত ১৮ মার্চ খণ্ড নথি সংশ্লিষ্ট মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সরাফুজ্জামান আনসারীর আদালতে গেলেও সংশ্লিষ্ট আদালত ১৯ মার্চ না থাকায় দায়িত্বে থাকা আদালতে শুনানি হয়।
প্রধানমন্ত্রীকে কটুক্তি করার অভিযোগে গত ১২ মার্চ (মঙ্গলবার) মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সরাফুজ্জামান আনসারী আদালতে কিরণের বিরুদ্ধে একটি মানহানি মামলা করেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক আবু হাসান চৌধুরী প্রিন্স। মামলায় তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানার আবেদন জানানো হয়। পরে একই আদালত কিরণের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।
গত শনিবার সকালে রাজধানীর ধানমন্ডি থেকে কিরণকে গ্রেফতার করে মতিঝিল থানার পুলিশ।
মামলার বাদী তার অভিযোগে বলেন, ‘গত ৮ মার্চ বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলন হয়। সেখানে প্রধানমন্ত্রী, বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন, বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড, বাংলাদেশ ফুটবল সংগঠকদের মানহানির উদ্দেশ্যে বক্তব্য দেন মাহফুজা আক্তার কিরণ। যা বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমেও প্রকাশ হয়’।
সংবাদ সম্মেলনে কিরণ বলেন, ‘পিএম (প্রধানমন্ত্রী) হিসেবে সব খেলাই তার কাছে সমান। সেখানে কেন দু’চোখে দেখবে? মেয়েরা ব্যাক টু ব্যাক চ্যাম্পিয়ন। গিফট তো পরের কথা, অভিনন্দন তো দিতে পারে, মিডিয়ায় কি কোনো অভিনন্দন জানাইছে? বিএফএফের টাকা কেন প্রধানমন্ত্রীকে দিয়ে দেয়াবো? বিসিবির অনেক স্বার্থ আছে। বিসিবি সরকারের অনেক ফ্যাসিলিটিজ নেয়। চুন থেকে পান খসলেই প্লট পেয়ে যায়, গাড়ি পেয়ে যায়। বিএফএফ সরকারের কাছ থেকে কোনো ফ্যাসিলিটিজ নেয় না। ’
এ ঘটনায় কিরণের বিরুদ্ধে ৫০ কোটি টাকার মানহানির মামলা করেন আবু হাসান চৌধুরী প্রিন্স।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৬ ঘণ্টা, মার্চ ১৯, ২০১৯
এমএআর/জেডএস