ফলে আদালতকে ভুল বুঝিয়ে যে অন্তর্বর্তীকালীন জামিন নিয়েছিলো সেটি বাতিল হয়ে গেছে এবং তা আর কার্যকর থাকলো না বলে জানিয়েছেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। তিনি বলেন, আমরা সব জায়গায় জানিয়ে দিবো সে (রুহুল আমিন) যেন আগের আদেশ অনুসারে বের হতে না পারে।
শনিবার (২৩ মার্চ) বিচারপতি মামনুন রহমান ও বিচারপতি এসএম কুদ্দুস জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ জামিনাদেশ প্রত্যাহার করে আদেশ দেন।
ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিশ্বজিৎ রায় জানান, বিচারপতি মামনুন রহমান ও বিচারপতি এসএম কুদ্দুস জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ থেকে আসামি রুহুল আমিন জামিন পান। এটি জানার পর রাষ্ট্রপক্ষে জামিন স্থগিত চেয়ে আপিলের প্রক্রিয়াও শুরু করেছেন। এর মধ্যে আজ চেম্বারে আদালত বসে ১৮ মার্চের আদেশ প্রত্যাহার (রিকল) করে আদেশ দেন। এছাড়া পরবর্তী আদেশের জন্য ২৫ মার্চ দিন রেখেছেন।
সুপ্রিম কোর্টের স্পেশাল অফিসার সাইফুর রহমানও জামিনাদেশ রিকল হওয়ার বিষয়টি জানিয়েছেন
জামিনের বিষয়টি জানার পর বৃহস্পতিবার এ বিষয়ে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বলেছিলেন, আবেদনকারীর আইনজীবী অ্যাটর্নি জেনারেল অফিসে এ আবেদনের একটি অনুলিপি দিয়েছিলেন। কিন্তু সেটাতে অন্য কোর্টের কথা বলা ছিল। আমাদের কোর্টের কথা ছিল না। কিন্তু তারা আমাদের কোর্টে শুনানি করে জামিন পেয়েছেন। আমরা আপিল বিভাগে যাচ্ছি। আশা করি সে (আসামি) এর মধ্যে বের হতে পারবে না।
আদালতে আসামিপক্ষে ছিলেন আইনজীবী আশেক ই রসুল।
গত বছরের ৩০ ডিসেম্বর রাত ১১টার দিকে নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলার চরজুবলী ইউনিয়নের চরবাগ্গা গ্রামে স্বামী-সন্তানকে বেঁধে চার সন্তানের জননীকে গণধর্ষণ করা হয়। ওই গৃহবধূর স্বামী বাদী হয়ে ৩১ ডিসেম্বর চর জব্বার থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন।
২ জানুয়ারি গভীর রাতে গণধর্ষণের ঘটনার মূলহোতা ও ৫ নম্বর চরজুবলী ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য (মেম্বার) এবং উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক রুহুল আমিনকে আটক করে পুলিশ।
পরে ৪ জানুয়ারি এক জরুরি বৈঠকে রুহুল আমিনকে দল থেকে বহিষ্কার করে উপজেলা আওয়ামী লীগ।
এ মামলার এজাহারভুক্ত ছয় আসামি ও ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে চারজন মিলিয়ে মোট ১০ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
বাংলাদেশ সময়: ১২৪০ ঘণ্টা, মার্চ ২৩, ২০১৯
ইএস/জেডএস