খালেদা জিয়া প্যারোল চাইবেন কিনা সেটা তার নিজস্ব সিদ্ধান্তের ব্যাপার বলে উল্লেখ করেন বিএনপির এ নেতা।
রোববার (৩১ মার্চ) সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি ভবনে তার চেম্বারে এক ব্রিফিংয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন।
বিএনপি নেতা ও খালেদা জিয়ার অন্যতম এ আইনজীবী বলেন, ২০১৬ সালের সরকার যে নীতিমালা প্রকাশ করেছে, সেখানে দেখবেন সবাই প্যারোলে পেতে পারেন। সাধারণ ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য জেলা প্রশাসক দিতে পারেন এবং বিশেষ ক্ষেত্রে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন ক্রমে যে কোনো ব্যক্তিকে যে কোনো দিন যতদিন খুশি প্যারোলে দিতে পারেন।
অতীতের প্যারোলে মুক্তির কয়েকটি ঘটনা তুলে ধরেন খন্দকার মাহবুব হোসেন।
খালেদা জিয়ার ক্ষেত্রে কি প্যারোলের চিন্তা করছেন সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, না, সেটা রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত। সেখানে আমাদের কোনো সিদ্ধান্ত নেই। আমরা তার মামলা করি মামলার ক্ষেত্রে ...করি। প্যারোলটা মামলা সংক্রান্ত ব্যাপার না। এটা একটা বিশেষ বিধান। যখন একটি লোক চরম অসুস্থ হয়ে পড়েন তার চিকিৎসা দরকার, আর আইন অনুযায়ী আদালতে জামিন পেতে তার অনেক সময় লেগে যেতে পারে। বা অনেক ক্ষেত্রে তারা সাজা বহাল রয়েছে। সে ক্ষেত্রে সরকার ইচ্ছা করলে তাকে প্যারোলে মুক্তি দিতে পারেন। চিকিৎসার জন্য দিতে পারেন। বিশেষ কারণে দিতে পারেন। সেখানে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধিকার সংরক্ষণ করা আছে। যে কোনো সময়ের জন্য প্যারোল দিতে পারেন।
খালেদা জিয়ার প্যারোলের বিষয়ে আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যারা নীতি নির্ধারক আছেন তাদেরও সিদ্ধান্ত দরকার হবে, যার জন্য তারও সিদ্ধান্ত দরকার হবে। স্ট্যান্ডিং কমিটি যদি তাকে পরামর্শ দেন, সে পরামর্শ অনুযায়ী তিনি প্যারোলে যাবেন কি যাবেন না এটা সম্পূর্ণ তার নিজস্ব সিদ্ধান্ত।
‘আইন বলে সাজাপ্রাপ্ত এবং কয়েদি, হাজতী (যারা দণ্ডিত নন) সবার ক্ষেত্রে সমভাবে প্রযোজ্য। ২০১৬ সালে যে নতুন নীতিমালা হয়েছে, সেখানে সাজাপ্রাপ্ত বা হাজতী এখানে কোনো পার্থক্য নেই। এটা সম্পূর্ণভাবে নির্ভর করে সরকারের উপর।
প্যারোল যিনি দেবেন তিনি নির্ধারণ করবেন কতদিন প্যারোলে থাকবেন, কতদূর যাবেন। এটা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের একক সিদ্ধান্ত।
…..প্যারোল দেবেন কিনা সেটা সরকারের সিদ্ধান্ত। আবার যার দরকার তিনি নেবেন কিনা সেটাও তার সিদ্ধান্ত।
ব্রিফিংয়ের বিষয়ে খন্দকার মাহবুব বলেন, বিগত কয়েকদিন বিভিন্ন মিডিয়া এবং সংবাদপত্রে প্যারোলে সম্বন্ধে বিভিন্ন রকম বক্তব্য এসছে। সে বক্তব্যগুলো পরস্পরবিরোধী হচ্ছে এবং বর্তমান আইনে যে বিধান রয়েছে সে বিধানের সঙ্গেও সাংঘর্ষিক। তাই আমি মনে করি প্যারোল সম্বন্ধে আমাদের আইনজীবী যারা আছেন তাদের এবং প্রিন্টিং মিডিয়া, ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ার সবারই ধারণা থাকা উচিৎ।
অতএব প্যারোল সম্পর্কে এ ধরনের বিভ্রান্তি থাকার জন্যেই আজকে আপনাদের কাছে এ বক্তব্য দিচ্ছি। ’
বাংলাদেশ সময়: ২০১৪ ঘণ্টা, মার্চ ৩১, ২০১৯
ইএস/এসএইচ