রোববার (৩১ মার্চ) ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৯ এর বিচারক মো. শরীফ উদ্দিন এ রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার পর তাকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০০৪ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর সোনিয়া সুলতানার সঙ্গে মশিউরের বিয়ে হয়। বিয়ের পর মশিউর চাকরি ছেড়ে ব্যবসা শুরু করেন। শ্বশুর বাড়ি থেকে টাকা এনে ব্যবসার পরিধি বৃদ্ধি করেন। এরপর ব্যবসার প্রয়োজনে আরও ২৫ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন মশিউর রহমান। এতে অস্বীকৃতি জানায় সোনিয়ার ভাই-বোন ।
এরপর ২০১৫ সালের ২৬ জুলাই মশিউর সোনিয়ার ভাই-বোনদের ফোন করে সোনিয়ার অসুস্থতার কথা বলে সবাইকে বাসায় আসতে বলেন। তখন তারা বাসায় গিয়ে দেখেন সোনিয়া মারা গেছেন। পরে ওই ঘটনায় ২০১৫ সালের ৮ আগস্ট সোনিয়ার ভাই আব্দুল্লা হেল বাকি আটজনকে আসামি করে উত্তরা-পশ্চিম থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলাটি তদন্ত করে ওই বছরের ২০ ডিসেম্বর ৬ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করে পুলিশ। পরের বছর ৫ জনের বিরুদ্ধে চার্জগঠন করে মামলার বিচারকাজ শুরু হয়। পরবর্তীতে হাইকোর্ট চার আসামির পক্ষের বিচারকাজ স্থগিত করেন। মামলাটির বিচারকাজ চলাকালে চার্জশিটভুক্ত ১৯ জন সাক্ষীর মধ্যে আসামি ও ভিকটিমের ছেলেসহ ১৪ জন সাক্ষ্য দেন।
নিহত সোনিয়ার ছেলে নিহাল জানায়, ঘটনার আগে সে তার মায়ের কাছে ঘুমাতো। ঘটনার দিন তার বাবা তাদের অন্য রুমে ঘুমাতে দেন। এই সময় বাবা তার মায়ের সঙ্গে একই রুমে ছিল।
রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন বিশেষ পাবলিক প্রসিকিউটর শহীদ হোসেন ঢালী ও মাছুম বিল্লা। আসামির পক্ষে ছিলেন মাহবুবুর রহমান।
বাংলাদেশ সময়: ১৯১৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ০১, ২০১৯
এমএআর/এমআরএ/এনটি