এক আইনজীবী এবং একটি সংগঠনের পক্ষে রোববার (০৭ এপ্রিল) হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ রিট করা হয়। আদালতে রিটের পক্ষে আইনজীবী হয়েছেন ব্যারিস্টার হুমায়ুন কবির পল্লব।
তিনি জানান, শনিবার (০৬ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১২টার দিকে ক্লাস চলাকালে হঠাৎ বরগুনার তালতলী উপজেলার ছোটোবগি পিকে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাদের বিম ধসে শিক্ষার্থীদের ওপর পড়ে ১১ জন আহত হয়। তাদের হাসপাতালে নেয়ার পথে তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী মানসুরা মারা যায়। এ ঘটনায় প্রকাশিত সংবাদযুক্ত করে রিট করা হয়।
সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী হাসান তারেক পলাশ ও ল’ অ্যান্ড লাইফ ফাউন্ডেশনের পক্ষে এ রিট আবেদনটি করা হয়।
আবেদনে নিহত শিক্ষার্থী মানসুরার পরিবারকে এক কোটি টাকা এবং আহত অন্যান্য শিক্ষার্থীর পরিবারকে ১০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ ও তাদের যথাযথ চিকিৎসা দেয়ার নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।
এছাড়া শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সবার জন্য নিরাপদ ও স্বাস্থ্যসম্মত পরিবেশে নিশ্চিত করার নির্দেশে রুল জারির আবেদন করা হয়েছে।
রিটে বিবাদী করা হয়েছে, শিক্ষা সচিব, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব, স্থানীয় সরকার সচিব, বরগুনার জেলা প্রসাশক, তালতলা উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা, ছোটোবগি পিকে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও বিদ্যালয় ভবনটি নির্মাণকারী সেতু এন্টারপ্রাইজের মালিককে।
এর আগে শনিবার (৬ এপ্রিল) দুপুরে বিদ্যালয়ের ক্লাস চলার সময় ছাদের পলেস্তারা ধসে পড়ে মানসুরা (৮) নামে তৃতীয় শ্রেণির এক ছাত্রী নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয় আরও ১০ শিক্ষার্থী।
নিহত মানসুরা উপজেলার পচাকোড়ালিয়া ইউনিয়নের গেন্ডামারা গ্রামের নজির হোসেন তালুকদারের মেয়ে।
আহতদের মধ্যে রুমা আক্তার, সাদিয়া, রোজমা, শাহিন ও ইসমাইল হোসেনের নাম জানা গেছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৭, ২০১৯
ইএস/এমএ