সোমবার (৮ এপ্রিল) মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কোতয়ালি থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মওদুদ হাওলাদার ৭ দিনের রিমান্ড চেয়ে তাকে আদালতে পাঠান। অপর দিকে রিমান্ড বাতিলসহ জামিনের আবেদন করেন আসামির আইনজীবী নুরুন নাহার।
উভয় পক্ষের শুনানি শেষে জামিনের আবেদন নাকচ করে দিয়ে ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন মহানগর হাকিম রাজেশ চৌধুরী।
গত রোববার (৭ এপ্রিল) ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম (সিএমএম) মো. জাহিদুল কবিরের খাসকামরায় গিয়ে নিজেকে ম্যাজিস্ট্রেট (সহকারী জজ) পরিচয় দিয়ে এক মামলার আসামির জামিনের বিষয়ে তদবির করেন জুয়েল রানা। তিনি নিজেকে ১২তম জুডিশিয়াল সার্ভিস পরীক্ষায় নিয়োগের সুপারিশপ্রাপ্ত বলে জানান।
এক পর্যায়ে তিনি একটি মামলার আসামির জামিনের বিষয়ে কথা বলেন। কথা বলার সময় কিছু ভুলশব্দ উচ্চারণ করেন। এতে সন্দেহ হয় জাহিদুল কবিরের।
ওই ব্যক্তিকে কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ালেখা করছেন জানতে চাইলে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কথা বলেন। এরপর ১২তম জুডিশিয়াল সার্ভিসের পরীক্ষার রোল জানতে চাইলে তিনি একটি পরীক্ষার প্রবেশপত্র বের করে দেখান। সেখানে রোল নম্বর ছিল ৮২০৩। রোল নম্বর যাচাই করে দেখা যায়, ওই রোল নম্বরের পরীক্ষার্থীর নাম ছিল আব্দুল্লাহ আল নোমান। বাড়ি কক্সবাজার জেলায়।
পরে জেরার এক পর্যায়ে তিনি স্বীকার করেন, তার আসল নাম মো. জুয়েল রানা। তিনি টাঙ্গাইল জেলার সদর থানার বিশাদ বেটকা মুন্সিপাড়ার আব্দুর রউফের ছেলে।
ওই ঘটনার পরে সিএমএম আদালত থেকে প্রতারক জুয়েল রানাকে রাজধানীর কোতোয়ালি থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। পরে কোতয়ালি থানার এসআই অনিল চন্দ্র রায় বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৮, ২০১৯
এমএআর/এমজেএফ