ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

অভিজিৎ হত্যা মামলার চার্জশিট গ্রহণ করেছেন ট্রাইব্যুনাল

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৫৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ১১, ২০১৯
অভিজিৎ হত্যা মামলার চার্জশিট গ্রহণ করেছেন ট্রাইব্যুনাল অভিজিৎ রায়

ঢাকা: লেখক ও ব্লগার অভিজিৎ রায় হত্যা মামলায় চাকরিচ্যুত মেজর সৈয়দ মোহাম্মদ জিয়াউল হক ওরফে জিয়াসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে যে চার্জশিট (অভিযোগপত্র) দেওয়া হয়েছে তা গ্রহণ করেছেন ট্রাইব্যুনাল।

বৃহস্পতিবার (১১ এপিল) ঢাকা সন্ত্রাস দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মুজিবুর রহমান অভিযোগপত্র গ্রহণ করে পলাতক দুইজনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি ও ১৫ জনকে অব্যাহতি দিয়েছেন।

গ্রেফতারি পরোয়ানাভুক্ত দুই আসামি হলেন— মেজর সৈয়দ মোহাম্মদ জিয়াউল হক ওরফে জিয়া ও আকরাম হোসেন ওরফে আবির।

অব্যাহতিপ্রাপ্ত ১৫ আসামি হলেন— সাদেক আলী ওরফে মিঠু, মোহাম্মদ তৌহিদুর রহমান, আমিনুল মল্লিক, জাফরান হাসান, জুলহাস বিশ্বাস, আব্দুর সবুর ওরফে রাজু সাদ, মাইনুল হাসান শামীম, মান্না ইয়াহিয়া ওরফে মান্নান রাহি, আবুল বাশার, মকুল রানা, সেলিম, হাসান, আলী ওরফে খলিল, অনিক ও অন্তু।

এর আগে ১৩ মার্চ ঢাকা মহানগর হাকিম সরাফুজ্জামান আনসারীর আদালতে এই চার্জশিটটি দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের পরিদর্শক মনিরুল ইসলাম। মামলায় সাক্ষী করা হয়েছে ৩৪ জনকে।

মেজর জিয়া ছাড়া অপর আসামিরা হলেন- মোজাম্মেল হুসাইন ওরফে সায়মন (সাংগঠনিক নাম শাহরিয়ার), আবু সিদ্দিক সোহেল ওরফে সাকিব ওরফে সাজিদ ওরফে শাহাব, আকরাম হোসেন ওরফে আবির, মো. মুকুল রানা ওরফে শরিফুল ইসলাম ওরফে হাদী, মো. আরাফাত রহমান, শফিউর রহমান ফারাবি। জিয়া ও আকরাম হোসেন পলাতক রয়েছেন। তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আবেদন করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা।

মেজর জিয়াকে হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারী আর ফারাবিকে উসকানি বা প্ররোচনাদানকারী হিসাবে শনাক্ত করা হয়েছে। চাকুরিচ্যুত মেজর জিয়া ও আকরাম হোসেন আবির এখনও পলাতক রয়েছেন।

মামলার তদন্তকারী কমকর্তা এ হত্যাকান্ডে ১১ জন জড়িত ছিল বলে অভিযোগপত্রে উল্লেখ করেন। কিন্তু সঠিক নাম-ঠিকানা না থাকায় তাদের মামলা থেকে অব্যাহতি দেন। অভিযোগপত্রে আরো বলেন, যাদের মামলা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে তাদের পূর্ণ নাম-ঠিকানা পেলে সম্পূরক  চার্জশিট দেওয়া হবে।

গ্রেফতার আসামিদের মধ্যে ৭ জন জামিনে রয়েছেন। জামিনপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন— জাফরান হাসান, সাদেক আলী মিঠু, জুলহাস বিম্বাস, আমিনুল মল্লিক, তহিদুল রহমান সামা, সিফাত ওরফে ইফরান ও আবুল বাসার।

আবুল বাসার গত ২০১৬ সালের ২৭ নভেন্বর মারা গেছেন। কারাগারে আছে—আবুল সবুর সাদ ওরফে রাজু, অমিনুল হাসান শামীম, শফিউর রহমান ফারাজী, আবু সিদ্দিকি সোহেল, মোজাম্মেল হোসেন নাইমুল, শামীম তারেক ওমান্না ইয়াহিয়া, কারাগারে থাকা অবস্থায় গত ২০১৭ সালের ২ নভেন্বর মান্না ইয়াহিয়া মারা যান। এদের মধ্যে থেকে আদালতে দোষ স্বীকার করে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ জবানবন্দি দিয়েছেন তিনজন। তারা হলেন— মোজ্জামেল হোসেন সায়মুন, আবু সিদ্দিক সোহেল ও আরাফাত হোসেন শামস।

৪৫ বারের মতো প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য সময় পেয়েছিলেন তদন্ত কর্মকর্তা। মামলায় স্বাক্ষী করা হয়েছে ৩৪ জনকে।

ব্লগার ও লেখক অভিজিৎ রায়কে ২০১৫ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি রাত সোয়া ৯টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি এলাকায় সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের পাশে সন্ত্রাসীরা কুপিয়ে জখম করে। আহত অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেওয়া হলে রাত সাড়ে ১০টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। পরে ২৭ ফেব্রুয়ারি অভিজিতের বাবা বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ অজয় রায় শাহবাগ থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৪০ ঘণ্টা, এপ্রিল ১১, ২০১৯    
এমএআর/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।