ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

শুনানিতে উঠছে খালেদার রিট ও জামিন আবেদন

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৩৮ ঘণ্টা, জুন ৯, ২০১৯
শুনানিতে উঠছে খালেদার রিট ও জামিন আবেদন

ঢাকা: ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে কারাবন্দি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে করা মানহানির দুই মামলায় চলতি মাসেই জামিন আবেদন শুনানিতে উঠছে। একইসঙ্গে আদালত স্থানান্তরের বিরুদ্ধে করা খালেদার রিটের পরবর্তী শুনানিও হবে।
 

হাইকোর্টের পৃথক বেঞ্চে এ শুনানির জন্য দিনও ঠিক করা রয়েছে।
 
রিট
খালেদার আইনজীবী ব্যারিস্টার কায়সার কামালের মতে, গত ১২ মে আইন মন্ত্রণালয় থেকে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।

ওই প্রজ্ঞাপন অনুসারে খালেদা জিয়ার মামলা শুনানির জন্য পুরান ঢাকার পুরাতন কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে আদালত (বিশেষ জজ আদালত-৯) স্থানান্তর করে কেরানীগঞ্জে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
 
‘সেই প্রজ্ঞাপন খালেদা জিয়া ও আমরা তার আইনজীবী হিসেবে বেআইনি বলে মনে করি। কারণ, সংবিধানের ৩৫ অনুচ্ছেদের স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা আছে, যেকোনো বিচার হতে হবে উন্মুক্তভাবে। কারাগারের একটি কক্ষে উন্মুক্তভাবে বিচার হতে পারে না। ফলে এই প্রজ্ঞাপন সংবিধান বিরোধী। পাশাপাশি ফৌজদারি কার্যবিধিতে (সিআরপিসি) স্পষ্টভাবে দেওয়া আছে যে, কোথায় কোথায় আদালত স্থানান্তরিত হতে পারে। ওই সিআরপিসির ৯(২) উল্লেখ নাই কারাগারে কোর্ট স্থাপিত হতে পারে। ’

ওই প্রজ্ঞাপনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিটের পর ২৮ মে বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের হাইকোর্ট বেঞ্চে আংশিক শুনানি শেষে ১০ জুন মুলতবি করা হয়।
 
মানহানির ২ মামলা
২০১৪ সালে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত ও ২০১৬ সালে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কটূক্তি করার অভিযোগে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে মামলা দু’টি বিচারাধীন রয়েছে। এ মামলায় গত ২০ মার্চ খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়। এ অবস্থায় ওই দুই মামলায় ২২ মে হাইকোর্টে জামিন আবেদন উপস্থাপন করা হয়। তবে রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সময় চেয়ে আবেদনের পর আদালত ১৭ জুন বেলা ২টায় শুনানির দিন নির্ধারণ করেন।

বিচারপতি মুহাম্মদ আবদুল হাফিজ ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।  

গত বছরের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় পাঁচ বছর কারাদণ্ড দেওয়া হয় খালেদা জিয়াকে। পরবর্তীতে আপিলের পর হাইকোর্টে যা বেড়ে ১০ বছর হয়। হাইকোর্টের ওই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আপিল করেছেন খালেদা জিয়া।
 
এদিকে গত বছরের ২৯ অক্টোবর জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়াকে সাত বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন আদালত। সর্বমোট ১৭ বছরের দণ্ড মাথায় নিয়ে কারাবন্দি (বিএসএমএমইউতে চিকিৎসাধীন) রয়েছেন বিএনপি প্রধান।

বাংলাদেশ সময়: ০৯৩৮ ঘণ্টা, জুন ০৯, ২০১৯
ইএস/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।