ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

আরও ১ সপ্তাহ স্থগিত থাকছে সাবেক এমপি রানার জামিন

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৪৩ ঘণ্টা, জুলাই ১, ২০১৯
আরও ১ সপ্তাহ স্থগিত থাকছে সাবেক এমপি রানার জামিন

ঢাকা: যুবলীগের দুই নেতা হত্যা মামলায় টাঙ্গাইল-৩ আসনের আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) আমানুর রহমান খান রানাকে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন আরও এক সপ্তাহ স্থগিত থাকছে। এই সময়ের মধ্যে রাষ্ট্রপক্ষকে নিয়মিত আপিল (সিপি) করতে বলেছেন আপিল বিভাগ।

 

সোমবার (১ জুলাই) প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন আপিল বেঞ্চ  এ আদেশ দেন।

ওইদিন আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ড. বশির উল্লাহ।

রানার পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মনসুরুল হক চৌধুরী। সঙ্গে ছিলেন রুশো মোস্তফা।

পরে ড. মো. বশির উল্লাহ বলেন, হাইকোর্টের রায় এখনো হাতে পাইনি। এ রায় পাওয়ার পর আগামী সোমবারের মধ্যে নিয়মিত আপিল করতে বলেছেন আদালত। ওইদিন পর্যন্ত তার জামিনও স্থগিত থাকছে।

১৯ জুন রানার জামিন প্রশ্নে জারি করা রুল শুনানি শেষে বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি এস এম মজিবুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ তাকে জামিন দেন।

হাইকোর্টের জামিনাদেশ স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষের করা আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ২০ জুন আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারাপতি মো. নূরুজ্জামান ১ জুলাই পর্যন্ত তার জামিন স্থগিত করেন।

আওয়ামী লীগের টাঙ্গাইল জেলা কমিটির সদস্য ফারুক আহমেদকে ২০১৩ সালের ১৮ জানুয়ারি গুলিকরে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় দায়ের করা মামলায় তৎকালীন এমপি রানা ২০১৬ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর আত্মসমর্পণ করলে তাকে কারাগারে পাঠান টাঙ্গাইলের বিচারিক আদালত।

এ মামলায় ২০১৭ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি রানা ও তার তিন ভাইসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ। এরপর একই বছরের ৬ সেপ্টেম্বর দণ্ডবিধির ৩০২/১২০/৩৪ ধারায় সংসদ সদস্য রানা ও তার তিন ভাইসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ (চার্জ) গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরু করেন আদালত।

এখন মামলাটি সাক্ষ্যগ্রহণ পর্যায়ে রয়েছে। এ মামলায় ১ এপ্রিল আপিল বিভাগ তার জামিন বহাল রেখেছেন।

টাঙ্গাইল সদর উপজেলার বাঘিল ইউনিয়ন যুবলীগের নেতা শামীম ও মামুন ২০১২ সালের ১৬ জুলাই তাদের বাড়ি থেকে মোটরসাইকেল করে টাঙ্গাইল শহরে এসে নিখোঁজ হন।

ঘটনার পরদিন ১৭ জুলাই শামীমের মা আছিয়া খাতুন এ ব্যাপারে টাঙ্গাইল সদর থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। এক বছর পর ২০১৩ সালের ৯ জুলাই নিখোঁজ মামুনের বাবা টাঙ্গাইল আদালতে হত্যা মামলা করেন। পরে তদন্ত করে পুলিশ ওই বছর ২১ সেপ্টেম্বর মামলাটি তালিকাভুক্ত করে।

এ মামলায় গ্রেফতার হওয়া শহরের বিশ্বাস বেতকা এলাকার খন্দকার জাহিদ গত বছর ১১ মার্চ, শাহাদত হোসেন ১৬ মার্চ এবং হিরণ মিয়া ২৭ এপ্রিল আদালতে এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে জবানবন্দি দেন।

জবানবন্দিতে তারা উল্লেখ করেন, এমপি আমানুর রহমান খান রানার দিক-নির্দেশনায় যুবলীগ নেতা শামীম ও মামুনকে হত্যা করে মরদেহ নদীতে ভাসিয়ে দেওয়া হয়েছিলো।

বাংলাদেশ সময়: ০৯৩৭ ঘণ্টা, জুলাই ০১, ২০১৯
ইএস/এসএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।