ঢাকা, বুধবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

শিশু সায়মা ধর্ষণ-হত্যা: আসামি হারুনের স্বীকারোক্তি

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২৫০ ঘণ্টা, জুলাই ৮, ২০১৯
শিশু সায়মা ধর্ষণ-হত্যা: আসামি হারুনের স্বীকারোক্তি গ্রেফতার হারুন ডিবি পুলিশের হেফাজতে। ইনসেটে সামিয়া আক্তার সায়মা। ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: রাজধানীর ওয়ারীর বনগ্রামে শিশু সামিয়া আক্তার সায়মাকে (৭) ধর্ষণের পর হত্যার মামলায় গ্রেপ্তার হারুন অর রশিদ আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

সোমবার (০৮ জুলাই) ঢাকা মহানগর হাকিম সারাফুজ্জামান আনছারী  আসামি হারুন অর রশিদের ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি নিয়ে কারাগারে পাঠিয়েছেন।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি পরিদশক মো. অর্জুন আসামিকে আদালতে হাজির করেন এবং জবানবন্দি নেওয়ার আবেদন করেন।

 

এর আগে গত ৭ জুলাই (রোববার) নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ থেকে হারুনকে গ্রেপ্তার করেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা (ডিবি) শাখার সদস্যরা। পরে ওইদিন দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে ওয়ারী বিভাগের ভারপ্রাপ্ত উপ-কমিশনার (ডিসি) ইফতেখার আহমেদ বাংলানিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, ৫ জুলাই (শুক্রবার) সন্ধ্যা ৬টা থেকে সাড়ে ৬টার মধ্যে সায়মা ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনা ঘটে। ওইদিন সায়মা তার মাকে বলে যায়, ‘ভবনের আট তলায় ফ্ল্যাট মালিক পারভেজের ছোট বাচ্চার সঙ্গে সে খেলবে। ওই ফ্ল্যাটে গেলে পারভেজের স্ত্রী জানান, তার মেয়ে ঘুমাচ্ছে। এ কারণে সায়মা বাসায় ফিরে আসছিল। ’

আব্দুল বাতেন বলেন, ‘ভবনের লিফটে নামার সময় সায়মার সঙ্গে  হারুন সায়মাকে ছাদ দেখানোর কথা বলে লিফট থেকে ছাদে নিয়ে যায়। এরপর সে জোরপূর্বক ধর্ষণের চেষ্টা করলে সায়মা চিৎকার দেয়। এ সময় সে সায়মার মুখ চেপে ধরে এবং ধর্ষণ করে। পরে সায়মাকে নিস্তেজ দেখে তার গলায় দড়ি পেঁচিয়ে টেনে ফ্ল্যাটের রান্নাঘরে নিয়ে যায়। এরপর সায়মার লাশ সিঙ্কের নিচে রেখে হারুন পালিয়ে তার গ্রামের বাড়ি কুমিল্লার তিতাস থানার ডাবর ডাঙ্গায় চলে যায়। ’

ঘটনার দিন রাত ৯টার দিকে রাজধানীর ওয়ারীতে সেই ভবনের নয় তলার খালি ফ্ল্যাট থেকে শিশু সামিয়ার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ওই ভবনের ছয়তলায় শিশু সায়মা তার পরিবারের সঙ্গে থাকতো। ওইদিন সন্ধ্যার দিকে খেলা করতে বাসা থেকে বের হয় সায়মা। এরপর থেকে শিশুটি নিখোঁজ ছিল।

ঘটনার পরেরদিন শনিবার (০৬ জুলাই) দুপুরে সায়মার মরদেহের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করার পর ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সোহেল মাহমুদ জানান, শিশুটিকে ধর্ষণের পর তার গলায় রশি পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে।

এক প্রশ্নের জবাবে সোহেল মাহমুদ বলেন, শিশুটির মুখে কামড়ের দাগ পাওয়া গেছে। এছাড়া তার ‘হাই ভ্যাজাইনাল সয়াব’ পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। পরীক্ষার প্রতিবেদন পাওয়ার পর পূর্ণাঙ্গ তথ্য জানানো হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৪৭ ঘণ্টা, জুলাই ০৮, ২০১৯
এমএআর/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।