ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

নুসরাত হত্যা মামলা: ৭৫ জনের সাক্ষ্য ও জেরা সম্পন্ন

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১৩১ ঘণ্টা, আগস্ট ৬, ২০১৯
নুসরাত হত্যা মামলা: ৭৫ জনের সাক্ষ্য ও জেরা সম্পন্ন

ফেনী: মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফিকে যৌন নিপীড়নের পর আগুনে পুড়িয়ে হত্যায় দায়ের করা মামলায় ফেনীর জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম শরাফ উদ্দিন আহমদের সাক্ষ্য ও জেরা সম্পন্ন হয়েছে।

আদালত সূত্রের বরাত দিয়ে সরকারি কৌঁসূলী হাফেজ আহাম্মদ বলেন, নুসরাত হত্যা মামলায় ৯২ সাক্ষীর মধ্যে এখন পর্যন্ত বাদীসহ ৭৫ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ ও জেরা সম্পন্ন হয়েছে। মঙ্গলবার (০৬ আগস্ট) পুলিশ সদস্য মো. সামছুর রহমান, মো. আল আমিন শেখ, মো. ময়নাল হোসেন, মো. নুরুল করিম, মো. জুয়েল মিয়া, সন্তোষ কুমার চাকমা ও মো. হায়দার আলী আকনের সাক্ষ্যগ্রহণ ও জেরার দিন ধার্য করেছে আদালত।

আদালত সূত্র জানায়, সাক্ষ্য দিতে গিয়ে জেষ্ঠ্য বিচারিক হাকিম শরাফ উদ্দিন আহমদ বলেন, নুসরাত হত্যা মামলায় অভিযুক্ত ৫ আসামির ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ড করি। সব নিয়ম-কানুন মেনেই আসামি হাফেজ মো. আব্দুল কাদের, আবদুর রহিম শরীফ, উম্মে সুলতানা পপি, কামরুন নাহার মনি, শাখাওয়াত হোসেন জাবেদ ও সাইফুর রহমান জোবায়ের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি নেওয়া হয়। পরে আসামিপক্ষের আইনজীবীরা জেরা করেন।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও ফেনী পিবিআইয়ের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহ আলম বলেন, কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে নুসরাত হত্যা মামলার ১৬ আসামিকে আদালতে আনা হয়। সাক্ষ্যগ্রহণ ও জেরা চলার সময় আদালতে তারা উপস্থিত ছিলেন।  

চলতি বছরের ২৭ মার্চ সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসাছাত্রী আলিম পরীক্ষার্থী নুসরাত জাহান রাফিকে যৌন নিপীড়ের দায়ে মাদ্রাসা অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ৬ এপ্রিল ওই মাদ্রাসা কেন্দ্রের সাইক্লোন শেল্টারের ছাদে নিয়ে অধ্যক্ষের সহযোগীরা নুসরাতের শরীরে আগুন ধরিয়ে দেয়। টানা পাঁচদিন মৃত্যুর সঙ্গে লড়ে মারা যান নুসরাত জাহান রাফি।

এ ঘটনায় নুসরাতের বড় ভাই মাহমুদুল হাসান নোমান বাদী হয়ে অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলাসহ আটজনের নাম উল্লেখ করে সোনাগাজী মডেল থানায় মামলা করেন। পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলাসহ ১৬ জনের সর্বেচ্চ শাস্তি দাবি করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

এ মামলায় মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলা, নুর উদ্দিন, শাহাদাত হোসেন শামীম, উম্মে সুলতানা পপি, কামরুন নাহার মনি, জাবেদ হোসেন, আবদুর রহিম ওরফে শরীফ, হাফেজ আবদুল কাদের ও জোবায়ের আহমেদ, এমরান হোসেন মামুন, ইফতেখার হোসেন রানা ও মহিউদ্দিন শাকিল আদালতে হত্যার দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন।

বাংলাদেশ সময়: ২১৩০ ঘণ্টা, আগস্ট ০৫, ২০১৯
এসএইচডি/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।