ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

ফের পেছালো এএসআইয়ের বিরুদ্ধে ছিনতাই মামলার রায়

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৩৬ ঘণ্টা, আগস্ট ১৯, ২০১৯
ফের পেছালো এএসআইয়ের বিরুদ্ধে ছিনতাই মামলার রায় ছবি: প্রতীকী

ঢাকা: আবারও পিছিয়েছে পুলিশের সহকারী উপ পরিদর্শকসহ (এএসআই) দুইজনের বিরুদ্ধে দায়ের করা ছিনতাইয়ের মামলার রায়। রায় প্রস্তুত না হওয়ায় পিছিয়ে আগামী ১৯ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করেছেন আদালত।

সোমবার (১৯ আগস্ট) ঢাকার তিন নম্বর দ্রুত বিচার আদালতের বিচারক দেবদাস চন্দ্র অধিকারীর আদালতে মামলাটির রায় হওয়ার কথা ছিল।

গত ১৭ জুন মামলাটির যুক্তিতর্কের শুনানি শেষে ৩ জুলাই রায় ঘোষণার দিন ধার্য করা হয়েছিল।

কিন্তু ৩ জুলাইও রায় প্রস্তুত না হওয়ায় তা পিছিয়ে ১৯ আগস্ট ধার্য করেছিলেন আদালত।

সংশ্লিষ্ট আদালতের পেশকার মোহাম্মদ জহির উদ্দিন বাংলানিউজকে রায় ঘোষণার তারিখ পিছিয়ে ১৯ সেপ্টেন্বর ধার্য করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেন।

মামলাটির আসামিরা হলেন- উত্তরা পূর্ব থানা পুলিশের এএসআই আলমগীর হোসেন (সাময়িক বরখাস্ত) এবং বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সাবেক সদস্য মাছুম বিল্লাহ।

আলমগীর যশোরের ঝিকরগাছা থানাধীন কীর্তিপুর গ্রামের আনোয়ার হোসেনের ছেলে। অন্যদিকে, মাসুম বিল্লাহর বাড়ি ঢাকার দোহার থানাধীন উত্তর শিমুলিয়া গ্রামে।

আর এ মামলার বাদী হলেন- নড়াইলের নড়াগাতি থানার খাসিয়াল মধ্যপাড়ার মো. হেমায়েত বিশ্বাসের ছেলে মো. ইলিয়াস। ২০১৭ সালের ৪ এপ্রিল উত্তরা পশ্চিম থানায় ছয়জনের বিরুদ্ধে ছিনতাইয়ের অভিযোগ এনে মামলাটি দায়ের করেন তিনি।

বাদী এজাহারে বলেন, ২০১৭ সালের ৪ এপ্রিল বিকেল ৩টার আমি রাজধানীর উত্তরা পূর্ব থানার রাজলক্ষ্মী মার্কেটের সামনে গাড়ির জন্য দাঁড়িয়েছিলাম। হঠাৎ একটি প্রাইভেটকার থেকে কয়েকজন লোক নেমে গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ পরিচয় দিয়ে আমাকে গাড়িতে তুলে নেয়। একপর্যায়ে কালো কাপড় দিয়ে চোখ বেঁধে ফেলে আমার। পরে আমার কাছে থাকা মানি এক্সচেঞ্জের ১৮ হাজার ৮০০ ইউএস ডলার ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। এসময় আমার ডাক-চিৎকারে আশপাশের লোকজন চলে এলে তারা তাদের ওপর দিয়ে গাড়ি চালিয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু উপস্থিত জনতা গাড়ি আটকে মাসুম বিল্লাহকে আটক করে এবং অপর চারজন পালিয়ে যান। পরে পুলিশ মাসুম বিল্লাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে, তিনি এ ঘটনায় পালিয়ে যাওয়া আরেকজন- এএসআই আলমগীর হোসেনের নাম বলেন।

এ তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ এএসআই আলমগীরকে গ্রেফতার করে। পরে তাকে রিমান্ডে নেওয়া হয়। এছাড়া আসামি মাসুম বিল্লাহ আদালতে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় নিজের দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দেন।

বাংলাদেশ সময় ১৩৩৫ ঘণ্টা, আগস্ট ১৯, ২০১৯
এমএআর/টিএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।