ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

মিন্নির জামিন প্রশ্নে রুল, ব্যাখ্যা দিতে হবে এসপিকে

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯২৭ ঘণ্টা, আগস্ট ২০, ২০১৯
মিন্নির জামিন প্রশ্নে রুল, ব্যাখ্যা দিতে হবে এসপিকে পুলিশি হেফজতে আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নি, ফাইল ফটো

ঢাকা: বরগুনার রিফাত শরীফ হত্যা মামলায় তার স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নিকে কেন জামিন দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে এক সপ্তাহের রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।

একইসঙ্গে আগামী ২৮ আগস্ট মামলার তদন্ত কর্মকর্তাকে সিডি (কেস ডকেট) নিয়ে হাইকোর্টে হাজির হতে বলা হয়েছে। এছাড়া মিন্নির সংশ্লিষ্টতার বিষয় জানিয়ে করা সংবাদ সম্মেলনের বিষয়ে পুলিশ সুপারকে লিখিত ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে।

মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন সুপ্রিম কোর্ট বারের সভাপতি আইনজীবী এএম আমিন উদ্দিন, আইনজীবী জেডআই খান পান্না। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. সারোয়ার হোসাইন বাপ্পী।

শুনানিতে আমিন উদ্দিন বলেন, আমরা শুধু জামিন চাই। জামিন পেলে তো মিন্নি তদন্ত কাজে প্রভাবিত করতে পারবে না। তদন্তেও ক্ষতিগ্রস্ত হবে না। কারণ মোটামুটি জবানবন্দিও হয়ে গেছে। সব তথ্য-উপাত্ত ভিডিওসহ নেওয়া হয়েছে। এখানে তো আর হস্তক্ষেপ করার কিছু নেই। ১৯ বছরের একটা মেয়ে জামিন পেলে পলাতক হবে না। যে কোনো শর্তে তার বাবার জিম্মায় থাকবে।

তবে রাষ্ট্রপক্ষে সারোয়ার হোসাইন বলেন, এটা ভেরি সেনসেশনাল কেস। চারজনের জবানবন্দিতে মিন্নির নাম এসেছে। সে এ ঘটনার নকশাকারক ও ষড়যন্ত্রকারী। আর পুলিশ রিপোর্টও মোটামুটি প্রস্তুত। এ বিষয়গুলো বিচেনায় নেওয়া প্রয়োজন।

গত ৮ আগস্ট (বৃহস্পতিবার) বিচারপতি শেখ মো. জাকির হোসেন ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চে ঘণ্টাব্যাপী শুনানি শেষে জামিন প্রশ্নে রুল জারি করতে গেলে আইনজীবীরা আবেদন ফেরত নেন।

এরপর ১৮ আগস্ট (রোববার) উক্ত বেঞ্চে জামিন আবেদনটি উপস্থাপন করা হয়। পরদিন সোমবার (১৯ আগস্ট) এ বিষয়ে আংশিক শুনানি হয়।

এর আগে গত ৫ আগস্ট (সোমবার) মিন্নির জামিন আবেদনের কথা জানিয়েছিলেন জেডআই খান পান্না।

১৬ জুলাই সকালে বরগুনার মাইঠা এলাকায় বাবার বাসা থেকে মিন্নিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বরগুনার পুলিশ লাইনে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে রিফাত হত্যাকাণ্ডে সম্পৃক্ততার প্রাথমিক প্রমাণ পাওয়ায় ওই দিন রাত ৯টার দিকে মিন্নিকে গ্রেফতার দেখায় পুলিশ।

পরদিন ১৭ জুলাই বিকেলে মিন্নিকে আদালতে হাজির করে সাত দিন রিমান্ডের আবেদন করে পুলিশ। বিকেল সোয়া ৩টার দিকে শুনানি শেষে বরগুনার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক সিরাজুল ইসলাম গাজী পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। ওইদিন মিন্নির পক্ষে কোনো আইনজীবী ছিলেন না।

রিমান্ডের দ্বিতীয় দিন ১৯ জুলাই বিকেল ৫টার দিকে বরগুনা সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. সিরাজুল ইসলাম গাজীর আদালতে মিন্নি স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। পরে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত।

২২ জুলাই বরগুনার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে প্রথমবার মিন্নির জামিনের আবেদন করেন তার আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. মাহবুবুল বারী আসলাম। ওই দিনই শুনানি শেষে আদালতের বিচারক মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম গাজী তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেন।

এরপর ২৩ জুলাই মিস কেস দাখিল করে বরগুনার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. আসাদুজ্জামানের আদালতে ফের জামিনের আবেদন করেন মিন্নির আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. মাহবুবুল বারী আসলাম। পরে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের নথি তলব করে ৩০ জুলাই এ জামিন শুনানির দিন ধার্য করেন আদালত। শুনানির পর জামিন আবেদন নাকচ করেন আদালত।

আরও পড়ুন>> মিন্নির গ্রেফতার-জিজ্ঞাসাবাদের বিষয়ে জানতে চান হাইকোর্ট

বাংলাদেশ সময়: ১৫২৬ ঘণ্টা, আগস্ট ২০, ২০১৯
ইএস/টিএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।