ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

নোয়াখালীর সেই নাজিরের জামিন বাতিলে হাইকোর্টের রুল

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২৩৭ ঘণ্টা, আগস্ট ২২, ২০১৯
নোয়াখালীর সেই নাজিরের জামিন বাতিলে হাইকোর্টের রুল

ঢাকা: অবৈধ সম্পদ অর্জন ও অর্থপাচারের দুই মামলায় নোয়াখালী জেলা জজ আদালতের নাজির আলমগীর হোসেনকে দেওয়া জামিন কেন বাতিল করা হবে না তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট।  

গ্রেফতারের দিন তাকে নোয়াখালী আদালতের দেওয়া জামিনের বিরুদ্ধে বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের শুনানি নিয়ে বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) বিচারপতি মো. মঈনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।

আদালতে দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান।

তিনি বলেন, জেলা জজ আদালত তাকে গ্রেফতারের দিন জামিন দিয়েছিল। ওই আদেশ চ্যালেঞ্জ করে আমরা রিভিশন করেছি। আজ (বৃহস্পতিবার) হাইকোর্ট বিভাগ তার জামিন বাতিলে ৪ সপ্তাহের রুল জারি করেছেন।

আইনজীবীরা জানান, অবৈধ সম্পদ অর্জন ও অর্থপাচার মামলায় ৫ আগস্ট দুদকের নোয়াখালীর সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক সুবেল আহমেদ নোয়াখালী জেলা জজ আদালতের নাজির আলমগীর হোসেনসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। এর মধ্যে নাজমুন নাহার তার স্ত্রী এবং আফরোজা আক্তার তার বোন।

মামলার এজাহারে বলা হয়, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত মোট ৭ কোটি ১৭ লাখ ৩৫ হাজার ৬২৫ টাকার সম্পত্তি অর্জন করেন। অর্জন করা ওই সম্পদ ভোগদখল রেখে প্রতারণামূলকভাবে মানি লন্ডারিং-সম্পৃক্ত অপরাধ, ঘুষ ও দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত অর্থের উৎস গোপনের লক্ষ্যে হেবা দলিল সম্পাদন, দলিলে জাল জালিয়াতি এবং বেনামে সম্পদ অর্জন এবং ভুয়া প্রতিষ্ঠান মেসার্স ঐশী ট্রেডার্সের ব্যবসার আড়ালে মোট ২৭ কোটি ৮২ লাখ ৭২ হাজার ৯৬৬ টাকা অবৈধভাবে স্থানান্তর, হস্তান্তর ও রূপান্তর করেছেন।

এছাড়া মো. আলমগীরকে আসামি করে আরও একটি মামলা করা হয়। দ্বিতীয় মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, সরকারি কর্মচারী হয়েও নাজিরের দাপ্তরিক পরিচয় গোপন করে ব্যবসা হিসাব দেখিয়ে বিভিন্ন ব্যাংকে একাধিক হিসাব খুলে ২০১০ সাল থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত ২৭ কোটি ৮২ লাখ ৭২ হাজার ৯৬৬ টাকা লেনদেন করেছেন।

ওইদিনই দুদকের হাতে গ্রেফতার হন আলমগীর। পরে অবশ্য ওইদিনই নোয়াখালীর আদালত তাকে জামিন দেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৮২৮ ঘণ্টা, আগস্ট ২২, ২০১৯
ইএস/এমএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।