ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

পুলিশের ভুলে কারাগারে জামসু!

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩৫৯ ঘণ্টা, আগস্ট ২৫, ২০১৯
পুলিশের ভুলে কারাগারে জামসু! প্রতীকী

ঢাকা: শুধু নামের মিল থাকায় পুলিশের ভুলের কারণে গ্রেপ্তার হওয়া মো. জামসু মিয়াকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। তবে মূল আসামি বর্তমানে জর্দান অবস্থান করছেন বলে জানা গেছে। 
 

রোববার (২৫ আগস্ট) মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মাদ মিল্লাত হোসেন তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। জামসু কিশোরগঞ্জ জেলার ইটনা থানার উদিয়ারপাড়ার (স্কুল পাড়া) সিরাজুল হকের ছেলে।

এর দুপুরে আদালতে হাজির করা হয় তাকে। পরে তার আইনজীবীরা জামিন আবেদন করলে তা নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত।  

একই সঙ্গে আদালত গ্রেপ্তার হওয়া আসামি জামসু ভিন্ন ব্যক্তি কিনা সে বিষয়ে তদন্ত করে ইটনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মাদ মোর্শেদ জামানকে ১০ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

মামলা সূত্রে জানা যায়, ঢাকা সিএমএম আদালতে ২০১৫ সালের ১১ জুন জনৈক মানহুরা খাতুন (২৬) তার স্বামী কিশোরগঞ্জ জেলার ইটনা থানার মো. সিরাজ মিয়ার ছেলে মো. জামসু মিয়ার (সাগর) বিরুদ্ধে যৌতুক আইনে (সিআর ২১৯/২০১৫) একটি মামলা করেন।

মামলায় আসামি গত বছরের ১ মার্চ থেকে পলাতক। ওই মামলায় ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মাদ মিল্লাত হোসেন চলতি বছরের ৫ ফেব্রুয়ারি আসামির অনুপস্থিতিতে ১ বছর ৩ মাসের কারাদণ্ডের পাশাপাশি ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ডের রায় দেন।  

রায়ের সময় আসামি পলাতক থাকায় আদালত আসামির স্থায়ী ঠিকানায় পুলিশ সুপারের মাধ্যমে একটি সাজা পরোয়ানা জারি করেন। ইটনা থানায় ওই পরোয়ানা পৌঁছানোর পর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মাদ মোর্শেদ জামান গত ২৫ জুলাই ওই থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শামছুল হাবিবকে পরোয়ানা তামিলের জন্য দায়িত্ব দেন।  

এরপর ৭ আগস্ট নামের মিলে কিশোরগঞ্জ জেলার ইটনা থানার সিরাজুল হকের ছেলে মো. জামসু মিয়াকে গ্রেপ্তার করে। পরদিন ৮ আগস্ট তাকে জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হলে আদালত তাকে কিশোরগঞ্জ কারাগারে পাঠান।

এরপর গত ২২ আগস্ট রায় দেওয়া আদালতে ভুক্তভুগী মো. জামসু মিয়ার আইনজীবী তানজির সিদ্দিকী রিয়াদ ভুল আসামি গ্রেপ্তারের বিষয়টি উল্লেখ করে জামিনের আবেদন করেন। ওইদিন একই আদালত বিষয়টি অবগত হয়ে আসামির উপস্থিতিতে ২৫ আগস্ট জামিন শুনানির জন্য দিন ধার্য করেন। সে অনুযায়ী রোববার কিশোরগঞ্জ কারাগার থেকে জামসু মিয়াকে আদালতে হাজির করা হয়।

এদিন শুনানিতে আইনজীবী তানজির সিদ্দিকী রিয়াদ ভুল আসামি গ্রেপ্তারের বিষয়টি উল্লেখ করে মো. জামসু মিয়ার জামিনের আবেদন করেন। শুনানির সময় সাজা হওয়া আসামি মো. জামসু মিয়ার (সাগর) আইনজীবী এসএম গোলাম ছোবহান শেখুনও বিষয়টি সত্য বলে আদালতকে জানান।  

তিনি বলেন, প্রকৃত আসামি বর্তমানে জর্দান রয়েছেন বলে জানা গেছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৭ ঘণ্টা, আগস্ট ২৫, ২০১৯
এমএআর/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।