ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

‘সাংবিধানিক দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন না করাও দুর্নীতি’

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮২৩ ঘণ্টা, আগস্ট ২৬, ২০১৯
‘সাংবিধানিক দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন না করাও দুর্নীতি’ সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলন

ঢাকা: বিচারপতিরা যদি আর্থিকভাবে দুর্নীতিগ্রস্ত হয় সেটা যেমন দুর্নীতি, তাদের ওপর অর্পিত সাংবিধানিক দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন না করাও দুর্নীতি বলে মনে করে জাতীয় আইনজীবী ঐক্যফ্রন্ট।

সোমবার (২৬ আগস্ট) সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে এমন মন্তব্য করেন সংগঠনটির আহ্বায়ক জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন।

সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক এ সভাপতি বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান পদেও রয়েছেন।

লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, অতি সম্প্রতি তিন জন বিচারপতিকে বিচারকার্য থেকে সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে কি অভিযোগ তা এখনও পরিষ্কার নয়। তারা কি আর্থিক দুর্নীতিগ্রস্ত? না অন্য কিছু, তা আমরা জানি না।

জয়নুল আবেদীন বলেন, বিচার বিভাগ থেকে জুডিশিয়াল কাউন্সিলের মাধ্যমে সব ধরনের দুর্নীতির বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে আমরা কামনা করি। কিন্তু আমরা দেখতে পারছি দেশের প্রধান আইন কর্মকর্তা এবং আইনমন্ত্রী বিষয়টি পরিষ্কার করছেন না, যা দুঃখজনক।

বিচারপতি নিয়োগে একটি সুনির্দিষ্ট নীতিমালা তৈরির দাবি জানিয়েছে তিনি বলেন, আদালতে বিচারপতি নিয়োগ বিধিমালা তৈরি করে নিয়োগ করা একান্ত প্রয়োজন।

‘বিচার বিভাগের দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতি দূর করা এবং সংবিধান অনুযায়ী বিচারপতি নিয়োগে বিধিমালা প্রণয়নের দাবিতে’ বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) সুপ্রিম কোর্ট বারসহ সব জেলা বারে মানববন্ধনের ঘোষণা দেন জয়নুল আবেদীন।

সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের সদস্য মাহবুব উদ্দিন খোকনসহ আইনজীবীরা উপস্থিত ছিলেন।    

গত ২২ আগস্ট (বৃহস্পতিবার) নিজ কার্যালয়ে হাইকোর্ট বিভাগের স্পেশাল অফিসার মোহাম্মদ সাইফুর রহমান বলেন, তিনজন বিচারপতির বিরুদ্ধে প্রাথমিক অনুসন্ধানের পরিপ্রেক্ষিতে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে পরামর্শক্রমে তাদের বিচারকাজ থেকে বিরত রাখার সিদ্ধান্তের কথা অবহিত করা হয় এবং পরবর্তীতে তারা ছুটির প্রার্থনা করেন।

এ বিষয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়ে ওইদিন অ্যাটর্নি জেনারেল বলেছিলেন, সেটা অভিযোগ কি, এ সম্বন্ধে অনুসন্ধান করে কি পদক্ষেপ নেওয়া দরকার তা রাষ্ট্রপতি আশা করি সিদ্ধান্ত নেবেন।

সূত্রমতে এ তিন বিচারপতি হলেন, বিচারপতি সালমা মাসুদ চৌধুরী, বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি এ কে এম জহিরুল হক।

বাংলাদেশ সময়: ১৪২২ ঘণ্টা, আগস্ট ২৬, ২০১৯
ইএস/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।