ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

ডা. আকাশের আত্মহত্যা: স্ত্রী মিতুর জামিন বহাল

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯২১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৯, ২০১৯
ডা. আকাশের আত্মহত্যা: স্ত্রী মিতুর জামিন বহাল তানজিলা হক চৌধুরী মিতু, ফাইল ফটো

ঢাকা: ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে আত্মহত্যা করা চিকিৎসক মোস্তফা মোরশেদ আকাশের স্ত্রী তানজিলা হক চৌধুরী মিতুকে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন স্থগিত করেননি আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত।

হাইকোর্টের দেওয়া জামিন স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষের করা আবেদনের ওপর বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) নো অর্ডার আদেশ দেন আপিল বিভাগের অবকাশকালীন চেম্বার বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী। ফলে তার জামিন বহাল রয়েছে বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।

আদালতে মিতুর পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এএম আমিন উদ্দিন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল জাহিদ সরওয়ার কাজল।

গত ২৮ আগস্ট মিতুর জামিন প্রশ্নে জারি করা রুল যথাযথ ঘোষণা করে হাইকোর্ট তাকে জামিন দেন।

ডা. আকাশ (৩২) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে নিজের টাইমলাইনে স্ট্যাটাস, ছবি ও ভিডিও দিয়ে স্ত্রীর সঙ্গে সম্পর্কের অবনতির ঘটনা তুলে ধরেন। তার সর্বশেষ স্ট্যাটাস ছিল ‘ভালো থেকো আমার ভালোবাসা তোমার প্রেমিকদের নিয়ে। ’

৩১ জানুয়ারি চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির সহকারী উপ পরিদর্শক (এএসআই) আলাউদ্দিন তালুকদার বাংলানিউজকে বলেছিলেন, চমেক হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের (১৩ নম্বর ওয়ার্ড) চিকিৎসক ছিলেন ডা. আকাশ। এ দিন সকালে তার ভাই নেওয়াজ মোরশেদ চান্দগাঁও আবাসিকের বি-ব্লকের ২ নম্বর সড়কের ২০ নম্বর বাসা থেকে গুরুতর অবস্থায় তাকে চমেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসেন। ধারণা করা হচ্ছে, ইনজেকশনের সাহায্যে তিনি আত্মহত্যা করেছেন।

১ ফেব্রুয়ারি বিকেলে তানজিলা হক চৌধুরী মিতুসহ ছয়জনকে এজাহারনামীয় আসামি ও তিন থেকে চারজনকে অজ্ঞাতপরিচয় আসামি করে চান্দগাঁও থানায় দণ্ডবিধির ৩০৬ ধারায় মামলা দায়ের করেন ডা. মোস্তফা মোরশেদ আকাশের মা জোবেদা খানম।

মামলায় আসামিরা হলেন- তানজিলা হক চৌধুরী মিতু (২৯), তার মা শামীম শেলী (৪৯), বাবা আনিসুল হক চৌধুরী (৫৫), বোন সানজিলা হক চৌধুরী আলিশা (২১) এবং মিতুর দুই ছেলে বন্ধু উত্তম প্যাটেল ও ডা. মাহবুবুল আলম (২৮)।

এর আগে ৩১ জানুয়ারি রাতে নগরের নন্দনকানন এলাকায় মিতুকে তার খালাতো ভাইয়ের বাসা থেকে গ্রেফতার করে সিএমপির কাউন্টার টেররিজম ইউনিট। কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের প্রধান উপ-পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ এ অভিযানে নেতৃত্ব দেন।

গ্রেফতারের পর মিতুর স্বীকারোক্তি অনুযায়ী আমানত শাহ (র.) মাজার এলাকা থেকে তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি উদ্ধার করে পুলিশ।

পরে নিম্ন আদালতে জামিন চেয়ে ব্যর্থ হওয়ার পর হাইকোর্টে জামিন আবেদন করেন মিতু। আদালত জামিন প্রশ্নে রুল জারি করেন। সেই রুলের শুনানি শেষে তাকে জামিন দেন হাইকোর্ট।

মোস্তফা মোরশেদ আকাশ চন্দনাইশ উপজেলার বরকল বাংলাবাজার এলাকার আব্দুস সবুরের ছেলে। তিনি পরিবারসহ চান্দগাঁও আবাসিক এলাকার বি-ব্লক ২ নম্বর রোডের ২০ নম্বর বাড়িতে ভাড়া থাকতেন।

ডা. আকাশের সঙ্গে মিতুর পরিচয় ২০০৯ সাল থেকে। ২০১৬ সালে বিয়ে হয় তাদের।

মিতুর বাড়ি কক্সবাজারের কুতুবদিয়া বড়ঘোপ এলাকায়। মিতুর পরিবার পাঁচলাইশ আবাসিক এলাকার ২ নম্বর রোডের ৪০/এ নম্বর বাড়িতে বসবাস করে। মিতু যুক্তরাষ্ট্রের নর্থ ক্যারোলিনায় থাকতেন। ১৩ জানুয়ারি তিনি বাংলাদেশে আসেন।

** স্ত্রীর সঙ্গে অভিমান, চিকিৎসকের আত্মহত্যা
** চিকিৎসকের স্ত্রী মিতু গ্রেফতার

বাংলাদেশ সময়: ১৫১৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৯, ২০১৯
ইএস/টিএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।