ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

সব আদালতকক্ষে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি টাঙানোর প্রক্রিয়া শুরু

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২৪১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৪, ২০১৯
সব আদালতকক্ষে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি টাঙানোর প্রক্রিয়া শুরু হাইকোর্ট/ফাইল ফটো

ঢাকা: দুই মাসের মধ্যে সারাদেশের প্রতিটি আদালতকক্ষ/এজলাসে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতি সংরক্ষণ ও প্রদর্শনে হাইকোর্টের নির্দেশ বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।

এজন্য দেশের অধস্তন আদালতের সব এজলাস/আদালতকক্ষে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতি সংরক্ষণ ও প্রদর্শনের বিষয়ে আইন মন্ত্রণালয় ইতোমধ্যে নোটিশ জারি করেছে।

এদিকে সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের স্পেশাল অফিসার জানিয়েছেনআদালতের ওই আদেশ বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া শুরু করেছেন তারা।

 

এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে গত ২৯ আগস্ট বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কেএম কামরুল কাদেরের হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ ওই আদেশ দিয়েছিলেন।

এ আদেশের পর ২৩ সেপ্টেম্বর আইন মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগ থেকে একটি নোটিশ জারি করা হয়েছে। সিনিয়র সহকারী সচিব (প্রশাসন) তৈয়বুল হাসান সাক্ষরিত ওই নোটিশে বলা হয়, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট সুবীর নন্দী দাসের রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত ২৯ আগস্ট  বিচারপতি এফআরএম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কেএম কামরুল কাদের মহোদয়ের বেঞ্চ দেশের সব আদালতের এজলাস/কোর্টরুমে আগামী দুই মাসের মধ্যে  বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর প্রতিকৃতি টাঙানো ও সংরক্ষণের নির্দেশনা দিয়েছেন।

এ অবস্থায় অধস্তন আদালতের সব এজলাস/কোর্টরুমে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতি টাঙানো ও সংরক্ষণের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করা হলো।

এদিকে সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের স্পেশাল অফিসার মোহাম্মদ সাইফুর রহমান এ বিষয়ে বলেন, পরিকল্পনা সম্পন্ন হয়েছে। এ আদেশ বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
 
চলতি বছরের ২১ আগস্ট হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ রিটটি দায়ের করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সুবীর নন্দী দাস।
আইনজীবী সুবীর নন্দী দাসের মতে, সংবিধানের ৪ (ক) অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতি রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, স্পিকার ও প্রধান বিচারপতির কার্যালয় এবং সব সরকারি ও আধা-সরকারি অফিস, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান, সংবিধিবদ্ধ সরকারি কর্তৃপক্ষের প্রধান ও শাখা কার্যালয়, সরকারি-বেসরকারি শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান, বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশের দূতাবাস ও মিশনগুলোতে সংরক্ষণ ও প্রদর্শন করতে হবে। এ অনুচ্ছেদ উল্লেখ করে রিটটি করা হয়েছে।

২৯ আগস্ট আদেশের পর সুবীর নন্দী দাস সাংবাদিকদের বলেছিলেন, দুই মাসের মধ্যে দেশের সব আদালত/এজলাসে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি সংরক্ষণ ও প্রদর্শনের নির্দেশ দিয়েছেন। দুই মাস পরে এ আদেশ বাস্তবায়নের প্রতিবেদন দিতে বিবাদীদের নির্দেশ দিয়েছেন।

‘আমরা আদালতে বলেছি, ভারতসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের তাদের জাতির জনকের ছবি অফিস আদালতে রয়েছে। এটার সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা রয়েছে। সেজন্য আমরা এ রিটটি করেছি। ’

পরে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার আবদুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার বলেন, আইন অনুসারে কেবল ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান তথা উপাসনালয় ছাড়া জাতির জনকের প্রতিকৃতি সব প্রতিষ্ঠানে প্রদর্শন ও সংরক্ষণ করতে হবে। আইন প্রণেতারা সেখানে তো ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ছাড়া কাউকে বাদ দেয়নি। তাই আদালতকক্ষেও প্রদর্শন করতে হবে।  

রুলের বিবাদীরা হলেন, আইনসচিব, গণপূর্তসচিব, অর্থসচিব, সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল ও হাইকোর্ট বিভাগের রেজিস্ট্রার।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৪০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৪, ২০১৯
ইএস/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।