ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

ফু-ওয়াং ক্লাবের ৩ স্টাফের রিমান্ড

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০০৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৮, ২০১৯
ফু-ওয়াং ক্লাবের ৩ স্টাফের রিমান্ড ফু-ওয়াং ক্লাব থেকে জব্দ করা মাদক

ঢাকা: রাজধানীর তেজগাঁওয়ের ফু-ওয়াং বোলিং অ্যান্ড সার্ভিস লিমিটেড থেকে গ্রেফতার তিন স্টাফের ৮ দিন রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আতিকুল ইসলাম।

শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) বিকেলে আদালত এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এর মধ্যে বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলায় চার দিন ও মাদক মামলায় চার দিন।

গ্রেফতার হওয়া আসামিরা হলেন- ক্লাবের ক্যাশিয়ার জাহিদুর রহমান মিয়া, স্টাফ চঞ্চল পালমা ও জেভিআর জেরি ডি কস্তা।

এর আগে গত বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) রাতভর অভিযান চালিয়ে ক্লাবটি থেকে অবৈধভাবে রাখা বিপুল পরিমাণ বিদেশি মদ, বিয়ার, আমদানি নিষিদ্ধ সিগারেট ও সাত লাখ টাকা জব্দ করে র‌্যাব। এছাড়া ক্লাবের ক্যাশিয়ারসহ তিন স্টাফকে আটক করা হয়।

বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে অভিযান শেষে র‌্যাবের পরিচালক (মিডিয়া) লেফটেন্যান্ট কর্নেল সারোয়ার বিন কাশেম এ তথ্য দেন।

তিনি বলেন, ক্লাবটি থেকে প্রায় ১০ হাজার ক্যান বিদেশি বিয়ার, দুই হাজার বোতল বিদেশি মদ এবং বিপুল পরিমাণ অবৈধ সিগারেট জব্দ করা হয়েছে। এগুলোর বেশির ভাগই অনুমোদনহীন। সাধারণত নির্দিষ্ট কিছু ব্র্যান্ডের মদ ক্লাবে রাখার অনুমোদন থাকে। জব্দ করা মদ সেই তালিকায় নেই।

র‌্যাব পরিচালক বলেন, ফু-ওয়াং ক্লাবের মালিক শেখ মনিরুল ইসলাম। অভিযানের সময় তাকে পাওয়া যায়নি। তাকেও আটকের চেষ্টা চলছে।

গত সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) ফু-ওয়াং ক্লাবে অভিযান পরিচালনা করেছিল পুলিশ। ঘণ্টা দুয়েক অভিযান চালিয়ে ক্লাবটির বারে তেমন কোনো অসংগতি পাওয়া যায়নি বলে জানায় তারা।

অভিযান শেষে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল্লা আল মামুন বলেছিলেন, ক্লাব কর্তৃপক্ষ বারে রাখা মদ বা লিকারের কাগজপত্র দেখিয়েছে। তাদের সব কাগজপত্র ঠিক রয়েছে।

পুলিশের অভিযানের ঠিক দুইদিন পর বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত ১২টা থেকে একই ক্লাবে অভিযানে নামে র‌্যাব-১। ১১ ঘণ্টাব্যাপী এ অভিযান শেষ হয় বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) সকালে।

অভিযান শেষে র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার সিনিয়র সহকারী পরিচালক (এএসপি) মিজানুর রহমান বলেন, ক্লাবটি সিলগালা করে দেওয়া হবে। ক্লাবে অনুমোদনের চেয়ে তিনগুণ বেশি ছিল মদ ও বিয়ার। এছাড়া আমদানি নিষিদ্ধ বিপুল পরিমাণ সিগারেট পেয়েছি। মাদক বিক্রির সাত লাখ টাকাও জব্দ করা হয়েছে।

তিনি এও বলেন, অভিযান থেকে আমরা তিনজনকে আটক করেছি। এই তিনজনসহ ক্লাবটির মালিকের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ ও বিশেষ আইনে মামলা করা হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৬০৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৮, ২০১৯
এমএআর/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।