এর আগে গত ১৭ অক্টোবর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের পরিদর্শক মো. হুমায়ুন কবির জবানবন্দি দেওয়া শুরু করেন। যা শেষ হয় ২১ অক্টোবর।
অসমাপ্ত জেরার জন্য বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) দিন ধার্য করেছিলেন আদালত। এদিন মোট আট আসামির মধ্যে পাঁচ জনের পক্ষে জেরা শেষ হয়েছে বলে জানান আসামিপক্ষের অন্যতম আইনজীবী মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন।
তিনি জানান, আসামি মামুনুর রশিদের পক্ষে জেরা শুরু হয়েছে। আর আসলাম হোসেন রাশেদ ওরফে র্যাশ ও শরিফুল ইসলাম খালেদের জেরা বাকি আছে। বাকি পাঁচ আসামির পক্ষে জেরা শেষ জয়েছে।
এই মামলায় এখন পর্যন্ত সবমিলিয়ে ১১৩ জন সাক্ষ্য দিয়েছেন। তদন্ত কর্মকর্তার সাক্ষ্যগ্রহণের মধ্য দিয়ে এই মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হবে বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী গোলাম ছারোয়ার খান জাকির। এরপর যুক্তিতর্ক শেষে মামলার রায় ঘোষণা করা হবে।
এই মামলার আসামিরা হলেন- জাহাঙ্গীর আলম ওরফে রাজীব গান্ধী, রাকিবুল হাসান রিগ্যান, আসলাম হোসেন ওরফে রাশেদ ওরফে র্যাশ, সোহেল মাহফুজ, মিজানুর রহমান ওরফে বড় মিজান, হাদিসুর রহমান সাগর, শরিফুল ইসলাম খালেদ ও মামুনুর রশিদ।
এছাড়া বিভিন্ন অভিযানে নিহত হওয়া ১৩ জঙ্গিকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়ার সুপারিশ করেন তদন্ত কর্মকর্তা। পরে তাদের অব্যাহতি দেওয়া হয়।
২০১৬ সালের ১ জুলাই রাতে গুলশানের হলি আর্টিজান রেস্টুরেন্টে হামলা চালিয়ে বিদেশি নাগরিকসহ ২০ জনকে হত্যা করে জঙ্গিরা। তাদের গুলিতে দুই পুলিশ কর্মকর্তাও নিহত হন। পরে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানে নিহত হয় পাঁচ জঙ্গি। ওই ঘটনায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে গুলশান থানায় একটি মামলা দায়ের করে পুলিশ।
২০১৮ সালের ২৩ জুলাই আট জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের পরিদর্শক হুমায়ুন কবীর। একই বছরের ৮ আগস্ট চার্জশিট গ্রহণ করেন আদালত। পরে ২৬ নভেম্বর আট আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে এই মামলার বিচার শুরু হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৪, ২০১৯
কেআই/এসএ