আগামী সোমবারের (৪ নভেম্বর) মধ্যে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সিআইডির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রফিকুল ইসলাম আদালতে এ তথ্য জানাবেন।
বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কেএম হাফিজুল আলমের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে আসামিপক্ষে ছিলেন আইনজীবী ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল হেলেনা বেগম চায়না।
দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান। তিনি বলেন, আসামিপক্ষে জানিয়েছিল মিজানুর রহমান চিকিৎসার জন্য বাইরে আছেন। কিন্তু কবে গেছেন তার নির্দিষ্ট কোনো তথ্য নেই। এ কারণে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তাকে আদালত আদেশ দিয়েছেন- তিনি যেন সোমবারের মধ্যে মিজানুরের বিষয়ে খোঁজ-খবর নিয়ে জানাতে। মিজানুর দেশে আছেন নাকি দেশের বাইরে।
আমিন উদ্দিন মানিক জানান, ডিজিটাল জালিয়াতির কয়েক হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগের মামলায় সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট মিজানুর রহমান চাকলাদার দেশে আছে কিনা, নাকি বিদেশে আছে, ইমিগ্রেশন চেক করে আগামী সোমবার হাইকোর্টকে জানাতে তদন্ত কর্মকর্তাকে মৌখিকভাবে নির্দেশ দিয়েছেন। মিজানুরের জামিন নিয়ে আবেদনের রুল শুনানিতে এমন আদেশ দেন।
তিনি আরও বলেন, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সিআইডির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রফিকুল ইসলাম মামলার বিষয়ে হাইকোর্টকে অবহিত করেছেন।
একইসঙ্গে আসামির ব্যাংক হিসাব জব্দের আবেদন করেছেন। বলেও জানান।
এর আগে ২৭ অক্টোবর সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট মিজানুর রহমান চাকলাদারের (দীপু) জামিনের ওপর স্থগিতাদেশ বহাল রাখেন আপিল বিভাগ।
ওইদিন আদালতে দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান। তিনি জানান, মিজানুর রহমান চাকলাদারকে হাইকোর্টের দেওয়া জামিনাদেশ ২৩ সেপ্টেম্বর স্থগিত করেন আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত। একইসঙ্গে দুই সপ্তাহের মধ্যে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়ে পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে শুনানির জন্য পাঠান। ২৭ অক্টোবর পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ আবেদন নিষ্পত্তি করে চেম্বার আদালতের আদেশ বহাল রেখেছেন। অর্থাৎ, তার জামিন স্থগিত থাকছে।
চট্টগ্রামের সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট মিজানুর রহমান চাকলাদারকে (দীপু) আসামি করে গত ১৬ জানুয়ারি ঢাকার রমনা থানায় মামলা করে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর। এই মামলায় সেদিনই মিজানুর রহমান চাকলাদারকে গ্রেফতার করেন শুল্ক গোয়েন্দারা। ২৩ জানুয়ারি মামলাটি সিআইডির কাছে তাকে হস্তান্তর করা হয়।
এ মামলায় গত ১৪ ফেব্রুয়ারি তাকে জামিন দেন ঢাকা মহানগর হাকিম আদালত। এই জামিন বাতিল চেয়ে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে আবেদন করে বাদীপক্ষ। আদালত গত ২৫ জুন তার জামিন বাতিল করে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেন। কিন্তু মিজানুর রহমান ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে আত্মসমর্পণ না করে দায়রা জজ আদালতের আদেশ বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেন।
হাইকোর্টে এ আবেদন উত্থাপিত হয়নি মর্মে খারিজ হওয়ার পর তিনি ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আত্মসমর্পণ করেন গত ১০ জুলাই। এরপর তিনি হাইকোর্ট থেকে গত ১৪ জুলাই ছয় মাসের জামিন পান। এই জামিন আদেশের সময় হাইকোর্ট দুদককেও রুলের জবাব দিতে বলেছিলেন, সেই কারণে দুদক তার জামিন স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগে আবেদন করেছিল।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৫০ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩১, ২০১৯
ইএস/এএ